মঈন উদ্দীন: [২] কোভিড-১৯ নতুন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধে রাজশাহী মহানগরে চলছে সাতদিনের কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনের তৃতীয় দিনে রোববার নগরীতে মানুষের চলাচল একটু বেশি দেখা গেছে। তবে লকডাউন বাস্তবায়নে নগরজুড়ে বাড়তি তৎপরতা দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
[৩] লকডাউনের কারণে নগরীর বিপনিবিতান ও অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। নগরীর প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে বেশি। এরপরও নগরীতে রাস্তায় মানুষের চলাচল দেখা গেছে আগের দুই দিনের চেয়ে বেশি। কিছু কিছু রিকশা-অটোরিকশাও চলছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং কাঁচাবাজারের জন্য দুপুরে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় মানুষের বেশ উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে সন্ধ্যার পর নগরী একেবারেই ফাঁকা দেখা যাচ্ছে। রাস্তায় থাকছে না কোন যানবাহন, থাকছে না মানুষেরও চলাচল।
[৪] দিনভর মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে থাকছে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শনিবার লকডাউন না মানায় ৫৭ জনের কাছ থেকে ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববারও অভিযান চলছিল।
[৫] এ দিন দুপুর ২টার দিকে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাতদিনের লকডাউন কঠোরভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি নগরবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।
[৬] লকডাউন দিয়ে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ১৪ দিন লকডাউন দিলে পরিস্থিতির অনেক উন্নয়ন হবে। সাতদিনের লকডাউনে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে থাকছে সেটা দেখার পর নিশ্চয় প্রশাসন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :