রুপায়ন চৌধুরী: একটা প্রতিষ্ঠানে দুই ধরনের লো পারফর্মার দেখা যায়- এক ধরনের লো পারফর্মার তারা জানে তাদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা কম, তাদের উন্নতি করতে হবে। তাদের আপনি ভুল ধরবেন, ট্রেনিং দিবেন, ওরা নিজেরা আস্তে আস্তে উন্নতি করে। এই ধরনের লো পারফর্মারদের সব সময় একটি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায় থেকে সময় দেয়া দরকার, তারা সৎ হয় ও পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের সম্পদে পরিণত হয়।
আরেক ধরনের লো পারফর্মার আছে। এরা খুব টক্সিক ও বিপজ্জনক মানুষ। এরা যে লো পারফর্মার এটা এরা মানে না, এদের সেই বুঝার জ্ঞান নেই। এরা কিছু জারগন জানে এগুলো কপচিয়ে এরা চলে। প্রথম দেখায় আপনার মনে হবে এরা অনেক জ্ঞানী। দুই দিন পরে বুঝতে পারবেন এরা মাকাল ফল। এদের আপনি ভুল ধরলে এরা মনে করে আপনি এদের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করছেন। এরা তখন প্রতিষ্ঠানে এদের হতাশা থেকে আরও সমমনা লো পারফর্মারদের নিয়ে একটা ঐক্য করে, প্রতিষ্ঠানে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে। পৃথিবীর কোন ট্রেনিং এদের উন্নতিতে কোন অবদান রাখতে পারে না।
এরা এতটা টক্সিক, এতটা নেগেটিভ চিন্তার এরা সবসময় নেগেটিভিটি ছড়ায়। যখন তারা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে সুবিধা করতে পারে না, তখন এরা গ্রুপ পাকায়। এমন কি এরা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে অন্য নেতিবাচক মনোভাবের লোকদের উসকে দেয়, তখন কর্মীদের নিজেদের মধ্যে এই ক্ষোভ ছড়ানোর চেষ্টা করে, বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াত ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে বেনামে সেই প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিদের উপর খুব নেতিবাচক ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করে। আর এরা যদি সেই প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত হয়, তাহলেতো তাদের সোস্যাল মিডিয়াতে সেই ক্ষোভ চলতে থাকে।
দ্বিতীয় টাইপের লো পারফর্মার সবসময় প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর। এদেরকে শুরুতে প্রতিষ্ঠানে চিহ্নিত করা জরুরি।
লেখক Group Chief Executive Officer and Co-founder at Synesis IT Ltd.
আপনার মতামত লিখুন :