সালাউদ্দিন অপু: দু দিন আগে অষ্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ বিশাল এক কাজ করে ফেলেছে এফ,বি,আই কে সাথে নিয়ে। নিশ্চিতভাবে বলা যায় এ ঘটনা কদিন পর হলিউডের মুভির গল্প হবে।
গল্পটা শুরু হয়েছিলো তিন বছর আগে।একজন মাদক ব্যাবসায়ী দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর সে পুলিশকে বলেছিলো,যদি তাকে কম শাস্তি দেয়া হয় তাহলে সে "ANOM" নামে একটি কমিউনেশন ফার্মের নিয়ন্ত্রনের পথ বলে দেবে।এই "ANOM" হচ্ছে আন্ডার ওয়ার্ল্ড'র মেসেজিং এপস যার জন্য নির্দিষ্ট ডিভাইস লাগে।
দেখতে সাধারণ ডিভাইসের মতো কিন্তু আন্ডার ওয়ার্ল্ড থেকে কিনতে হয় এবং তারা নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে দেয়।আর এই ডিভাইস কেনার জন্য আন্ডার ওয়ার্ল্ডের রিকমেন্ডেশন লাগে।তার মানে আন্ডার ওয়ার্ল্ডে পরিচিত কেউ থাকলে এবং ওরা রেফারেন্স দিলে এই ডিভাইস কেনা যাবে।
অষ্ট্রেলিয়ান পুলিশ FBI কে নিয়ে আটককৃত ঐ মাদক ব্যাবসায়ীর সহায়তায় সহায়তায় "ANOM" হ্যাক করে এর নিয়ন্ত্রন নেয়।তারপর এই ANOM কে মাদক জগতে জনপ্রিয় করে অষ্ট্রেলিয়ান এক মাদক ব্যাবসায়ী "হাসান আয়িক" র মাধ্যমে।
"হাসান আয়িক" অষ্ট্রেলিয়ার তালিকা ভুক্ত মাদক সম্রাট।AFP'র ঐ এজেন্ট ,হাসান আয়িক'কে ANOM এপ'স দেয় এবং এটি যে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের জন্য নিরাপদ তা বুঝাতে সক্ষম হয়।আর হাসান আয়িক'র মাধ্যমে এই ANOM বিশ্বের নব্বই টি দেশে বারো হাজার ডিভাইসের মাধ্যমে মাদক সাম্রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
মাদক সাম্রাজ্যে যে সব ছবি,মেসেজ আদান প্রদান হয় ANOM এর মাধ্যমে সব তথ্য AFP'র সার্ভার হয়ে অপরাধীদের কাছে যায়।
তিন বছর প্রায় তিন কোটি'র কাছাকাছি TEXT আদান প্রদান হয় যার প্রত্যেক টি পুলিশ চেক করে তথ্য নিয়েছে।
তিন বছর পর গত সাত জুন AFP অষ্ট্রেলিয়া,জার্মানী,আমেরিকা,ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে একযোগে মোট সতেরো টি দেশে নয়হাজার আইনপ্রয়োগকারী এ অভিযানে অংশ নিয়ে আট টন কোকেন,বাইশ টন গাঁজা,দুই টন ম্যাথাএ্যামফিটামিন,২৫০ টি অবৈধ অস্র,৫৫ টি বিলাশবহুল গাড়ি,নগদ চার কোটি আশি লাখ ডলার সহ আটশ জন কে গ্রেফতার করে সারা বিশ্ব থেকে।
এখন বিপদে আছে "হাসান আয়িক"।তার জন্য মাদকের জগতে বিশাল ধাক্কা এলো।
অষ্ট্রেলিয়ান পুলিশ "হাসান আয়িক" কে বলছে আত্মসমর্পন করার জন্য।তাতে অন্ততো সে বেঁচে থাকবে।আর না হলে আন্ডার ওয়ার্ল্ড ই তাকে মেরে ফেলবে।পুলিশ কখনোই কারো বন্ধু না,প্রমাণিত। (অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখকের ফেইসবুক পোষ্ট থেকে সংগৃহিত)