শিরোনাম
◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২১, ০১:৩৮ রাত
আপডেট : ১১ জুন, ২০২১, ০১:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফজলুল বারী : মানুষ অনেক কষ্টে আছে, তাদের পাশে দাঁড়ান

ফজলুল বারী : দেশের টেলিভিশনগুলোতে সারাদিন দেখি মানুষের বিরুদ্ধে রিপোর্ট। লোকজন মাস্ক পরে না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে না ইত্যাদি। করোনার দীর্ঘ ছোবলে বেশির ভাগ মানুষের মন ভালো নেই। যাদের মন ভালো নেই তাদের কাছে আপনারা সচেতন ভূমিকা আশা করেন কী করে? যানবাহনের ড্রাইভার, হেল্পার তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী আর আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী। তাদের সবার কাছে আপনার মতো সমান আচরণ-প্রতিক্রিয়া আশা করেন কীভাবে। মাস্ক যাদের নেই তাদের একটা মাস্ক দিন। বারবার দিতে দিতে তার অভ্যাস গড়ে উঠবে।

মানুষকে বোঝাতে হবে শুধু করোনা নয়, বাংলাদেশের যে ধুলিময় পরিবেশ, গায়ে গায়ে মানুষের বসবাস, সম্ভব হলে যে যখনই বাইরে বেরুবে তাকে সারা বছরই মাস্ক পরলে সে নিরাপদ থাকবে। করোনার শুরুতে সরকারি-বেসরকারি যতো মাধ্যমে মানুষকে খাবার দেওয়া থেকে শুরু করে নানাকিছু দেওয়া হয়েছে এবার তা নেই। এবার একবার কিছু মানুষকে আড়াই হাজার টাকা দিয়েছেন মানে তাদের সব সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন?

দেশের বেশির ভাগ মানুষের আর্থিক অবস্থা এখন খুবই নাজুক। নতুন লাখ লাখ বেকার সৃষ্টি হয়েছে দেশে, যা অনেকেই মানতে শরম পাচ্ছেন! যেসব দেশে লকডাউন সফল হয়েছে তাদের মানুষকে যে সব সহায়তা দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে গুগলে গিয়ে পড়ে দেখেন। মা-বাবার সঙ্গে থাকা ছাত্রদেরও ভাতা বাড়িয়ে সপ্তাহে আড়াইশ ডলার করা হয়েছিলো। জব সিকার জব কিপার নামে কতো রকম সাপোর্ট তাদের দেওয়া হয়েছে। এসব ভাতাও স্বাভাবিক সময়ের চাইতে বাড়িতে দেওয়া হয়। জব কিপার ভাতা ছিলো দুই সপ্তাহে ১৫শ ডলার পর্যন্ত।

করোনা মোকাবেলায় সফল দেশগুলোয় সরকারগুলো মনে করেছে মানুষকে দেওয়া এসব দয়া নয় মানুষের অধিকার। টাকা যেমন দেওয়া হয়েছে তেমনি দেখানো হয়েছে বড় জরিমানার ভয়। মানুষ ভাবে এতো জরিমানা দিলে খাবো কী। তারা আইন মেনেছেন নিরাপদও হয়ে গেছেন। টেলিভিশনগুলোর কোনো কোনো রিপোর্ট দেখে মনে হবে সরকারের মতো তারাও হয়ে গেছেন ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই কিল মারার গোসাই। মিডিয়ার বড় কর্তারা ভালো বেতন পান।

বেতন না পেলেও অনেকের আয় উন্নতি ভালো। একই অফিসের ছোট বেতনের লোকজনের কী অবস্থায় দিন যায় তা কী কখনো তারা জানার চেষ্টা করেন? প্লিজ পরিস্থিতিগুলো জানার বোঝার চেষ্টা করুন। রিপোর্ট করুন মানুষের পক্ষে। বিপক্ষে নয়। মানুষকে আপনাদের প্রতিপক্ষ ভাববেন না প্লিজ। মানুষ অনেক কষ্টে আছে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়