সুমাইয়া ঐশী: [২] মশার শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করিয়েই ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ ৭৭ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ার একদল বিজ্ঞানী এই পন্থা আবিষ্কার করেছেন। এখনও বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এর ওপর। তবে প্রাথমিক পরীক্ষায় ব্যাপক সফলতার মুখ দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। বিবিসি
[৩] এই গবেষণায় মশার প্রায় ৫০ লাখ ডিমে ওলবাছিয়া ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করানো হয়েছে। এই ব্যাকটেরিয়া মশার শরীরে ঢুকে ডেঙ্গুর জীবাণুকে এর প্রতিলিপি তৈরিতে বাঁধা দেয়। ফলে ডেঙ্গু ছড়ানোর সক্ষমতা হারায় মশা। এটি মশার পরবর্তী প্রজন্মেও বিস্তার লাভ করতে পারে।
[৪] গবেষণাগারে মশার শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করানোর পর এসব মশাকে ইন্দোনেশিয়ার ইয়োগ্যাকার্তা শহরের কয়েকটি অঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেসব অঞ্চলে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার ৭৭ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও হ্রাস পেয়েছে ৮৬ শতাংশ। সায়েন্স স্ল্যাসডট
[৫] একে বিজ্ঞানীরা অলৌকিক আবিষ্কার বলে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেন, আমরা যতটা আশা করেছিলাম, এটি তার চেয়ে আরও অনেক বেশি কার্যকারি হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিপুল পরিমাণ পুরুষ মশা ছাড়া থেকে শুরু করে যতোগুলো পদ্ধতি এ পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়েছে, ওলবাছিয়া ভাইরাস এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
[৬] এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে। প্রাথমিক ইতিবাচক ফলের পর বিজ্ঞানীরা এবার কোমর বেঁধে লেগে পড়েছেন এই গবেষণাকে সর্বাত্মকভাবে সফল করতে। আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই ইন্দোনেশিয়ার অন্যান্য শহরেও ডেঙ্গু প্রতিরোধী এই ভাইরাসযুক্ত মশা ছেড়ে দেওয়া হবে।