শাহীন খন্দকার: [২] এ নিয়ে বাংলাদেশে ২৮ জনের শরীরে করোনার ‘বিটা’ (দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন) শনাক্ত হয়েছে। ২৮ জনের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। এদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলে শিশুও আছে। নতুন এই তিনজনের একজন ঢাকায়, তার বয়স ৫০ বছর। অপর দুজন কুমিল্লায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ বছর বয়সী এক তরুণ। এদিকে গত ৮ জুন করোনা ভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে করোনার এই ধরন শনাক্তের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
[৩] জিআইএসএআইডির সর্বশেষ তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত বিটা ধরন শনাক্ত হয়েছে ২৮ জনের মধ্যে। ৪৪ জনের মধ্যে করোনার ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়েছে। করোনার আলফা ধরন শনাক্ত হয়েছে ৮৪ জনের মধ্যে। বাংলাদেশে ইটা ধরন মিলেছে ১৫ জনের মধ্যে এবং করোনার গামা ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে ১ ব্যক্তির শরীরে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে গত বছর বিটা ধরনটি প্রথম পাওয়া যায়। এর নাম ‘৫০১.ভি২’।
[৪] গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে প্রথম করোনার এই ধরনের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীরে এই ধরনটি পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের পাঁচটি ধরন শনাক্ত হয়েছে।
[৫] এগুলো হলো যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার যুক্তরাজ্যের ধরনকে আলফা, ব্রাজিলের ধরনকে গামা, ভারতীয় ধরনকে ডেলটা, দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনকে বিটা এবং নাইজেরিয়ার ধরনকে ইটা নামকরণ করেছে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :