জেরিন আহমেদ: [২] মহামারীর মধ্যে বিজ্ঞানীরা যখন এর প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তখন বিভিন্ন দেশে অন্য রোগের কিছু ওষুধও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, সেগুলো কোভিড-১৯ রোগীকে উপশম দিতে পারে কি না। এর মধ্যে আইভারমেকটিনও রয়েছে।
[৩] আইভারম্যাকটিন ওষুধটি এক জাতীয় এনটি পেরাসাইটিক যা পরজীবিদের এগেনস্টে কাজ করে। যখন মানুষের শরীরে কোনো পরজীবি বা প্যারাসাইড প্রবেশ করে তখন সেই পরজীবি বা প্যারাসাইড কোষের গায়ে একজাতীয় বাহক থাকে যেটাকে বলে গ্লুটামেট গেটেড ক্লোরাইড চ্যানেলস। এক জাতীয় চ্যানেল পট যেটা গ্লুটামেট গেটেড দারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
[৪] আইভারমেকটিন মূলত পরজীবীর নার্ভ ও অন্যান্য কোষে আক্রমণ করে একে পরাস্ত করে।
[৫] অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি ও মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি মেডিকেল কলেজও এ বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করছে। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, আইভারমেকটিন ব্যবহারে নতুন করোনাভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যায়।
[৬] আর ইউনিভার্সিটি অব উটাহর গবেষকরা বলছেন, আইভারমেকটিন প্রয়োগে কোভিড-১৯ রোগীদের বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে বলে তারা দেখতে পেয়েছেন।
[৭] এছাড়া দেশের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এই চিকিৎসকরা বলছেন, আইভারমেকটিন ভাইরাসের সংখ্যাবৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
[৮] আইভারমেকটিনের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন প্রয়োগ করে তারা দেখেছেন, কোভিড-১৯ রোগীদের উপসর্গগুলো তিন দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ কমে গেছে। সূত্র: ইউটিউব, বিডি নিউজ ২৪