লিহান লিমা: [২] গবেষণা বলছে, যদি ধনী দেশগুলো গ্রিণহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করতে ব্যর্থ হয় তবে কোভিডের কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে তার চেয়েও দ্বিগুণ বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে তারা। মহামারীর কারণে জি-৭ দেশগুলোর অর্থনীতি গড়ে ৪.২ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, ২০৫০ নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে এর দ্বিগুণ। - গার্ডিয়ান
[৩] অক্সফাম ও দ্য সুইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর গবেষণায় বলা হয়, যদি আগামী ৩০ বছরের মধ্যে তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌঁছায় তবে বিশ্বের শীর্ষ এই ৭ অর্থনৈতিক দেশ তাদের বার্ষিক জিডিপির ৮.৫ শতাংশ হারাবে অথবা তাদের বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ হবে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
[৪] গবেষণায় বলা হয়, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে ২০৫০ সাল নাগাদ ব্রিটেনের বার্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে ৬.৫ শতাংশ, ভারতের অর্থনীতি এক চতুর্থাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অস্ট্রেলিয়া অর্থনীতির ১২.৫ শতাংশ হারাবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে এক দশমাংশ।
[৫] আগামী ১১ মে যুক্তরাজ্যের কর্ণওয়ালে জি-৭ নেতারা (যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি) বৈশ্বিক অর্থনীতি, করোনার টিকা, ব্যবসায়িক কর ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করবেন।
[৬]সুইস রি এর প্রধান অর্থনীতিবিদ জেরোমি হেগেলি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রধান দীর্ঘস্থায়ী ঝুঁকি। আমাদের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। জি-৭ দেশগুলোকে আরো সক্রিয় ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। অর্থাৎ সিও২ নিঃসরণ কমানোই নয় সেই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করতে হবে।