আব্দুল্লাহ মামুন: [২] স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ফারাহ নাজ ফিরোজ বলেন, করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর কর আরোপ, যা অর্থনৈতিক ভাবে আঘাত আসবে অর্থাৎ ‘আগে পেটে ভাত তারপর লেখা পড়া’। তবে শিক্ষাই দেশ ও জাতিকে উন্নত করতে পারবে এবং জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই সংকটে সরকারের উচিত অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়া। এ অবস্থায় কর আরোপ অনাকাক্সিক্ষত, অপেক্ষা করছি আমাদের সংগঠন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমীতির পদক্ষেপের জন্য।
[৩] বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, শিক্ষা কোনো পন্য নয় যে তার ওপর ভ্যাট আরোপ করা যাবে। এই বিষয়ে ২০১০ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে সফলতা এনেছে। ২০১৫ সালেও একই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
[৪] ২০২০-২১ অর্থবছরেও একই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নানা কৌশলে মালিকদের ওপর কর হিসেবে আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই কর মালিকপক্ষ সাধারণ ভাবেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করবে।
[৫] আরেকটি বড় বিষয় হলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেসমস্ত ট্রাস্টির মাধ্যমে পরিচালিত হয়, তারা বেশির ভাগই অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলে, তাহলে সেই অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে কেন মুনাফা আসবে, সেই মুনাফা মালিকপক্ষ কেন পাবে? এ বিষয় আগে তদন্ত করতে হবে, কারা মালিক পক্ষের হয়ে এই মুনাফা নেয়। এছাড়া গত কয়েক বছর থেকে ইউজিসিরও কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।
[৬] সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, করোনাকালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভোগান্তিতে আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এর লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের মধ্য দিয়ে একটি মুনাফালোভী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
[৭] এর মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরা যে মুনাফা করে এটি পরিষ্কার এবং স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে তারা শিক্ষাকে পণ্যে পরিণত করছে। আমাদের দাবি [ক] অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের মুনাফার তদন্ত করা এবং এরকম লভ্যাংশ বাজেয়াপ্ত করা [খ] শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি কমানো। [গ] সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি নির্ধারণে একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রনয়ণ করা। শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের যুক্ত করে একটি জাতীয় কমিটির গঠনের মধ্যদিয়ে এই নীতিমালা প্রনয়ণ করা। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান