রাজু চৌধুরী : [২] সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়েও সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্টিত হচ্ছে দুই সপ্তাহব্যাপী (৫-১৯ জুন) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২১।
[৩] শনিবার ৫ জুন সকালে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল আউটডোরে ইপিআই কেন্দ্রে একটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে দিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন ঢাকার মহাখালীস্থ জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মাহমুদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।
[৪] জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দরা বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর মৃত্যুর হার হ্রাস করে । ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। সরকারের সকল মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষনতায় করোনা মোকাবিলায় সক্ষম হচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় করোনাকালীন এই কঠিন সময়ে দুই সপ্তাহব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
[৫]জেলা সিভিল সার্জন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ২’শ ইউনিয়নের ৬’শ ওয়ার্ড, ১৫টি স্থায়ী কেন্দ্র, ১৫টি ভ্রাম্যমান কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮’শ অস্থায়ী কেন্দ্রে মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার ৫০৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
[৬] ৬-১১ মাস বয়সী ৮৯ হাজার ৪৩৯ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আই.ইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আই.ইউ) খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
[৭] এ ক্যাম্পেইন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ