আতিকুর রহমান: [২] গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাড়ি থেকে অসুস্থ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে নসিমন চাপায় প্রাণ গেল স্বামীর। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন স্ত্রী।
[৩] শুক্রবার (৪ জুন) সকালে কালীগঞ্জের তুমুলিয়া মিশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
[৪] স্থানীয়রা বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার বাহন নছিমন, করিমন, ভটভটি অবাধে চলাচল করছে। এতে প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। তাই দ্রুত এসব অবৈধ বাহন চলাচল বন্ধ দরকার।
[৫] দুর্ঘটনায় নিহতের নাম আশুতোষ চন্দ্র দাস (৪৫)। তিনি কালীগঞ্জের বক্তারপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের শ্যাম চরণ দাসের ছেলে। আশুতোষ চন্দ্র দাস একটি ঔষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন।
[৬] দুর্ঘটনায় আহত আশুতোষ চন্দ্র দাসের স্ত্রী কনিকা রাণী দাস। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
[৭] নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা বলেন, বাড়ি থেকে অসুস্থ স্ত্রী কনিকা রানী দাসকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মোটরসাইকেল যোগে উত্তরার একটি হাসপাতালে রওনা হয়েছিল আশুতোষ চন্দ্র দাস। সকাল সাড়ে সাতটায় দিকে কালীগঞ্জ-টঙ্গী সড়কের তুমুলিয়া মিশন এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি নসিমন (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত তিন চাকার বাহন) তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় আশুতোষ চন্দ্র দাস, আহত হয় কনিকা রানী দাসও। পরে তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশুতোষের মৃত্যু হয়। আহত কনিকা রানী দাসকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন। ঘটনার পর নসিমন ফেলে চালক পালিয়ে যায়।
[৮] কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম বলেন, ''গুরুতর আহত অবস্থায় আশুতোষ চন্দ্র দাসকে সকাল ৭টা ৪০ মিনিট হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। আহত কনিকা রানী দাসকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।''
[৯] কালীগঞ্জ থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদিকুর রহমান বলেন, ''দুর্ঘটনার বিষয়ে কোন তথ্য জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।'' সম্পাদনা: সাদেক আলী