তপু সরকার : [২] ‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এই স্লোগানকে ধারণ করে প্রতিবার বছরে দু’বার দিনব্যাপী এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পেইন দুই সপ্তাহ করা হয়েছে।
[৩] এ কর্মসূচির আওতায় এবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৩ হাজার ১শ ১৭জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৮১ হাজার ৯শ ৮৪ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলসহ মোট ২লক্ষ ৫ হাজার ১শ ১জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১ হাজার ৩৪৬টি টিকাদান কেন্দ্রের ২ হাজার ৬৯২ জন সেচ্ছাসেবকের সহায়তায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
[৪] বুধবার (২ জুন) শেরপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ।
[৫] অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত। এটা শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। ভিটামিন ‘এ’ নিয়ে প্রচারিত গুজবে কান না দেয়ারও আহ্বান জানানো হয় । সেইসঙ্গে সব অভিভাবককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য নির্ধারিত বয়সের মধ্যে সব শিশুকে কাছের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
[৬] সিভিল সার্জন আরও জানান, টিকা খাওয়ানোর পূর্বে অভিভাবক ও শিশুর করোনার স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা হবে। সেইসাথে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও স্ক্রিনিং করা হবে।