সালেহ্ বিপ্লব: [২] যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ভয়াবহতম এই বর্ণবাদী দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিলো ১৯২১ সালের ৩১ মে, ওকলাহোমার তুলসায়। ৩০০ জন আফ্রিকান-আমেরিকান প্রাণ হারায় দুদিনের ওই দাঙ্গায়, যার সূচনা শ্বেতাঙ্গরা করেছিলো। বিবিসি
[৩] তুলসার গ্রিনউডে থাকতো আফ্রিকান-আমেরিকানরা। তারা ছিলো ধনী এবং প্রভাবশালী। শ্বেতাঙ্গরা তাদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগিয়ে দেয়। চালায় লুটতরাজ ও গণহত্যা।
[৪] মার্কিনীরা সেই কলঙ্কিত দিনটির কথা প্রায় ভুলতেই বসেছে, আমেরিকার কোনও প্রেসিডেন্ট এই একশ বছরে স্মরণ করেননি রক্তাক্ত সে ইতিহাসকে। গত বছর ব্ল্যাক ম্যাটারস লাইভ মুভমেন্টের সময় তুলসা গণহত্যা আবার ফিরে আসতে শুরু করে আলোচনায়।
[৫] তখন জানা যায়, গণহত্যা বিষয়ক অনেক কাগজপত্রই রেকর্ডে নেই। কিছু নষ্ট করা হয়েছে, কিছু হারিয়ে গেছে। আর এই কলঙ্ক ও বেদনা সম্পর্কে স্কুল-কলেজেও তেমন একটা পড়ানো হয় না।
[৬] মর্মান্তিক দিনটি স্মরণ করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুলসায় গেছেন। সেখানে জনগণের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, তুলসার ওই ঘটনা মোটেও দাঙ্গা ছিলো না। সেটি ছিলো গণহত্যা।
[৭] ওকলাহোমার তুলসায় এ সফরের শুরুতেই তিনি গ্রিনউড কালচারাল সেন্টারে তুলসা গণহত্যার বিভিন্ন স্মারক দেখেন। দিনটি স্মরণে করে হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতি দিয়েছে।
[৮] সেদিনের হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, এমন তিনজন এখনো বেঁচে আছেন কালের সাক্ষী হয়ে। তাদের বয়স ১০১ থেকে ১০৭ এর মধ্যে। জো বাইডেন এই সফরে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :