সমীরণ রায়: [২] শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, দুগ্ধজাতীয় পণ্যের বহুমুখীকরণ ও বৈচিত্র্য আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বেসরকারি খাতকে বিকশিত করার জন্য যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে, এই উপমহাদেশের কোন রাষ্ট্র নেয়নি।
[৩] তিনি বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বহু পূর্বে ২০০১ সালে ১ জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস নির্ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে দুগ্ধ দিবসের ভাবনা কতটা কার্যকর করতে পারছি, সেটা ভাবতে হবে। সাভারে আন্তর্জাতিকমানের মাননিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন করেছি, যার মাধ্যমে দুধ মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত কীনা সেটা পরীক্ষা করা যাবে। পুষ্টি মানসমৃদ্ধ দুধের জন্য এর উৎসে থাকা গবাদিপশুর খাবারের মান অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। শুধু দুধ খেলেই হবে না। দুধ হতে হবে মানসম্মত।
[৪] মন্ত্রী বলেন, করোনকালে প্রাণি খাদ্য ও মৎস্য খাদ্য আমদানির সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়ে দূর করেছি। দুধ উৎপাদনকারী ও ভোক্তাদের জন্য ভ্রাম্যমাণ বিক্রি ব্যবস্থা করেছি। এতে উৎপাদক ও ভোক্তারা লাভবান হয়েছেন। এভাবে করোনায় গোটা দুগ্ধ খাতকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি।
[৫] তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের মেধা বিকাশের জন্য অন্যতম আদর্শ খাদ্য হলো দুধ। দুধের উৎপাদন বাড়াতে পারলে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাবে। মানসম্মত দুধ উৎপাদন করতে পারলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যাবে। এজন্য দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সম্মিলিত প্রয়াস নিতে হবে।
[৬] মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ও দুগ্ধ সপ্তাহ, ২০২১ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।