আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বেইজিং এর হুমকি বা দিল্লির তোষণকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজস্ব ভারসাম্যনীতি গ্রহণ করেছে ঢাকা । বাংলাদেশে চলমান বেশ কিছু মাল্টিবিলিয়ন ডলারের মেগা প্রকল্পে কাজ করছে চীনা কোম্পানি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার পদ্মা সেতুর কথা। কিন্তু এই উন্নয়নশীল দেশটি এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে দেয়নি, যেনো কখনই বড় দেশটির সামনে তাকে হাটু মুড়ে বসতে হয়। চীনের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সোনাদিয়া বন্দর প্রকল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়নি। অর্থাৎ চীনকে প্রভাব বিস্তার করতে না দেওয়া ঢাকার কাছে নতুন কিছু নয়। দ্য ফেডারেল
[৩] বাংলাদেশ সরকার সোনাদিয়া বন্দর বাতিলের ক্ষেত্রে বলেছে পরিবেশের উপর এর নেতিবাচক প্রভাবের কথা। তবে অনেকে মনে করেন, এর পেছনে ছিলো ভারতের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা। কারণ নয়াদিল্লি শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে ছিলো। একই সঙ্গে বাংলাদেশ চীনকে সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরির কাজ দিয়েছে। এক্ষেত্রে সাউথব্লকের আপত্তি ধোপে টেকেনি।
[৪] মজার ব্যাপার হলো, এই বন্দর বাতিল করেও বাংলাদেশের লোকসান হয়নি। সোনাদিয়া থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মাতারবাড়িতে বন্দর তৈরি হচ্ছে। যার কাজ ভারত বা চীনের কেউই পায়নি। পেয়েছে জাপান। এটিও বাংলাদেশের ভারসাম্য রক্ষার বড় প্রমাণ।
[৫] চীনের প্রভাব বলয়ে থাকা পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসেনি। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীনা বিনিয়েগ পেতে পাকিস্তান তার স্বাধীকারের অনেকটাই বেইজিংয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। এর বদলে তারা পেয়েছে ৬৭ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। এর বদলে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের ১৫ হাজার কর্মীকে শুধু চীনা কর্মকর্তাদের বাড়ি ও সম্পদ পাহাড়া দেওয়ার কাজে লাগারো হয়। ৯৯ বছরের জন্য হাম্বানটোটা চীনের হাতে তুলে দিয়ে কিছুই পায়নি কলোম্বো। দেশটি এখন দেনায় ডুবে আছে, যে দেনা থেকে তাদের রক্ষায় চীন বা ভারত নয়, এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ঢাকা এখন পর্যন্ত ইসলামাবাদ বা কলম্বোর মতো ভুল করেনি। তোয়াক্কা করেনি বেইজিং এর হুমকিকেও।
আপনার মতামত লিখুন :