সমীরণ রায়: [২] রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, বাজেটে ক্ষেত মজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের সারাবছর কাজ ও খাদ্যের নিশ্চয়তা, রেশনিং চালু, চিকিৎসা নিশ্চয়তা, বয়স্কদের পেনশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে।
[৩] বক্তারা বলেন, বাজেটে প্রতিবছর গ্রামীণ ও বিভিন্ন কর্মসূচি এবং প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের অনৈতিক যোগসাজশে সাধারণ মানুষ সেই বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হন। শুধু বাজেটে বরাদ্দ রাখলেই হবে না, সেই বরাদ্দ যাতে প্রকৃত উপকারভোগীর হাতে পৌঁছায় তার নিশ্চয়তাও দিতে হবে।
[৪] তারা বলেন, গত বছর বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকার প্রায় ৯৬ হাজার কোটি বরাদ্দ করে। কিন্তু এর বড় অংশই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়। করোনা মহামারিকালে আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে গেছেন। সাধারণ গরিব মানুষ আজ খাদ্য, চিকিৎসা সংকটে আছেন। এসব মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করাই যেন হয় এবার বাজেটের মূল লক্ষ্য।
[৫] তারা আরও বলেন, আসন্ন বাজেটে ক্ষেত মজুরসহ গ্রামীণ মজুরদের জন্য পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালুর বরাদ্দ রাখতে হবে। রেশনিং-এর মাধ্যমে ক্ষেত মজুরসহ গরিব মানুষের মধ্যে চাল-আটা-লবণ ৫ টাকা, ডাল, ভোজ্য তেল ৩০ টাকা, চিনি-কেরোসিন ১৫ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :