শাহীন খন্দকার: [২] অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেছেন, দেশে ইতোমধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। সীমান্তবর্তী ৩৫টি জেলার মানুষের এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। ভারতের ভ্যারিয়েন্টটি এক থেকে বিশ জন, বিশ জন থেকে চারশত জন পর্যন্ত সংক্রামিত করে থাকে।
[৩] উপচার্য বলেন, সীমান্তবর্তী জেলার মানুষ যাতে পার্শ্ববর্তী জেলাসহ ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে এবং ওই সকল জেলায় যাতে অন্য জেলার মানুষ প্রবেশ করতে না পারে। এছাড়া ভারত থেকে বৈধ বা অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে আগতদের অবশ্যই কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করা এবং যারা ভারত থেকে আগতদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিকল্প নাই।
[৪] বিএসএমএমইউর পরিচালক বলেন, ব্যবহৃত মাস্ক পরিস্কার না করে বারবার ব্যবহার করলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বর্তমানে ভারতে এই ফাঙ্গাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এই ফাঙ্গাস প্রাণীর বিষ্ঠা, বাসী খাবার, বাসী ফল, ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষিত খাদ্য, অক্সিজেন ও আইসিইউ এর হিউমিডিফায়ারের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।
[৫] ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভুগছেন, করোনা ভাইরাসে দীর্ঘদিন ধরে ভুগেছেন, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী, অতিরিক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, অন্তসত্ত্বা মহিলা, অত্যাধিক স্টেরয়েড গ্রহণ করা রোগী, কিডনি বা অন্য অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা রোগী এবং চরম অপুষ্টিজনিত রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস এর রাইনো-অরবিটাল-সেরিব্রাল ধরণটি নাক দিয়ে ঢুকে চোখ ও মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে। তাই এই জীবাণুটি যাতে আক্রান্ত না করে অধিকতর সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান