কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] শনিবার অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) এ দাবি তুলে ধরে বলছে, অভিবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে যা বাংলাদেশকে বিশ্বের উন্নয়ন মডেল হিসাবে তৈরি করেছে।
[৩] সংগঠনটি বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মী বিশেষ করে নারীদের ‘সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীতে’ অন্তর্ভুক্ত করে মাসিক ভাতা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
[৪] অভিবাসীদের জন্য সোশ্যাল বেনিফিট’ নিশ্চিত করতে ‘প্রভিডেন্ট ফান্ড’ চালু করতে হবে।
[৫] রেমিট্যান্সের উপর প্রদেয় প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করতে হবে।
[৬] অভিবাসী কর্মীর অধিকার, কল্যাণ ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়।
[৭] গত কয়েক বছরের জাতীয় বাজেট বিশ্লেষণ করে অভিবাসী কর্মীদের জন্য বরাদ্দকৃত উন্নয়ন বাজেটের পরিমাণ এক শতাংশেরও কম বলে জানায় ওকাপ।
[৮] বেশিরভাগ অসুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশ ফেরত অভিবাসী কর্মী টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারে না। অভিবাসনের জন্য নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে না পারা কিংবা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পেরে অনেক ফেরত অভিবাসী কর্মী সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বিষহ জীবনযাপন করে।
[৯] মহামারিতে কাজ হারিয়ে ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছে। এদের প্রায় ৬৩ শতাংশ অভিবাসী কর্মীকে পাওনা বেতন, বোনাস বা গ্র্যাচুইটি না দিয়েই সম্পূর্ণ শূন্যহাতে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।