সুমাইয়া ঐশী: [২] ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাকৃতিক ভাইরাসের আদলেই করোনাকে তৈরি করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এজন্য একটি প্রাকৃতিক ভাইরাসের নমুনা করোনার স্পাইকে স্থাপন করা হয়। আর সেই ভাইরাস পাওয়া গেছে চীনের একটি গুহায় থাকা বাদুড়ের শরীরে। ডেইলি মেইল
[৩] করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক নাকি ল্যাবে তৈরি বিষয়টি উদঘাটন করতে জোর তদন্ত চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রও। তবে এনিয়ে একটি বিস্ফোরক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, করোনাকে কৃত্রিমভাবে তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এমনকি এ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার ক্ষেত্রেও কমতি রাখেনি চীন। ডেইলি মেইল, দ্য সান, ফোর্বস
[৪] গবেষণাটি করেছেন ব্রিটিশ প্রফেসর অ্যাঙ্গাস ডালগ্লেইস, যিনি এইচআইভির প্রথম কার্যকারি ভ্যাকসিন তৈরিতে যুগান্তকারী অবদানের জন্য পরিচিত। অন্যদিকে তাকে সাহায্য করেছেন নরওয়ের ভাইরোলজিস্ট ড. বার্জার সরেনসেন। তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির চেয়ারম্যান। করোনার বায়োভ্যাক-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতেও তার অবদান রয়েছে।
[৫] এই দুই বিশেষজ্ঞ বলছেন, চীনা বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েক বছর ধরেই এই ভাইরাস তৈরির জন্য চেষ্টা করে আসছিলেন। গত বছর ছিলো তারই একটি ধারাবাহিকতা।
[৬] এনিয়ে ডালগ্লেইস বলেন, করোনা একটি রেট্রো-ইঞ্জিনিয়ার্ড ভাইরাস। অর্থাৎ এই ভাইরাসকে জেনেটিক্যালি পরিবর্তন করা হয়েছে। এর ফলে এটি আরও বেশি সংক্রামক ও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
[৭] গবেষণায় আরও বলা হয়, এ কাজটি সম্পূর্ণ গোপনভাবে করা হয়েছে চীনের ল্যাবে। পরে এ সংক্রান্ত তথ্য যাতে বাইরে না যায়, সেজন্য তথ্যগুলো বিনষ্ট করারও চেষ্টা করা হয়েছে। যেসব বিজ্ঞানীরা এই প্রোজেক্টে কাজ করেছেন তাদের মধ্যে অনেকে গবেষণাটিকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। তবে তাদের তা করতে দেওয়া হয়নি, এমনকি অনেককে গুম করে দেওয়া হয় বলেও জানানো হয়েছে এই গবেষণাপত্রে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :