মুসা কলিম মুকুল : জলোচ্ছ্বাস থেকে লোকালয় রক্ষায় কংক্রিটের বাঁধের কোনো প্রয়োজন নেই। কংক্রিট নিজেই একটা জঞ্জাল, একটা বিশ্রী দূষণ। কংক্রিট স্থায়ীও নয়। মাটিই ভালো। মাটির বাঁধই যথেষ্ট। মাটির বাঁধই স্থায়ী হয়। তবে তাতে গেওয়া, গরাণ, কেওড়া, গোলপাতা-সহ বিভিন্ন ম্যাংগ্রোভের গাছ-লতার বনায়ন করতে হয়। এসব গাছ-লতাকে আবার মাঝখান হতে সম্পদ মনে করে বসলে মুশকিল। সুন্দরবনের গাছ-লতা আমাদের জীবন ও গেরস্তালি রক্ষা করে। এই রূপেই সুন্দরবন মহান সম্পদ। সোনার ডিম পাড়া হাঁসের মাংস খাবার কথা চিন্তা করা মূর্খতা।
আরেকটি ছোট্ট কথা, নদীতীর ও উপকূলের খাস জমিগুলো সংবিধান মেনে ভূমিহীন কৃষকদেরই দিতে হবে। কৃষকদের মাটি-মায়ের প্রতি যথার্থ ভক্তিজ্ঞান থাকে। মাটিকে রক্ষা করতে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়- এই শিক্ষা ও অনুশীলন কৃষকদের স্বভাবজাত। ভুড়ি- মোটাথচোখে-ক্ষিধে বড়লোকদেরকে খাসজমি বন্দোবস্ত দিলে তাদের খামচি আর কামড়ানির চোটে মাটি রসাতলে যায়। তাহলে কংক্রিটের দেয়াল নয়, প্রশস্ত মাটির বাঁধ এবং বাঁধের ওপর ম্যাংগ্রোভই বাঁচার উপায়। আর উপকূল ও চরের মাটি পাবে ভূমিহীন কৃষকসমাজ। সহজ সমাধান। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :