সুজন কৈরী: রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। গ্রেপ্তারকৃতের নাম- বাবু ওরফে কালা বাবু ওরফে কালু ওরফে শেখ রাসেল হোসেন (২৬)। তিনি মামলার ১৮ নাম্বার আসামি।
বুধবার রাতে পল্লবীর সিরামিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, পল্লবীতে প্রকাশ্যে সাহিনুদ্দীনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় পল্লবী থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলাটির পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরাই প্রেক্ষিতে সাহিনুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে সরাসরি জড়িত বাবু ওরফে কালা বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাবু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ হত্যার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা ছাড়াও চাঁদাবাজি, মারামারি ও মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার বাবুকে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৬ মে বিকেল জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দীনকে ডেকে নিয়ে পল্লবী থানার ডি ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়।
এরপর ১৯ মে র্যাবের অভিযানে সাহিনুদ্দীন হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালসহ তিন জনকে ভৈরব, চাঁদপুর ও পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ।
২০ মে রাতে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় গ্রেপ্তার অভিযানে গেলে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয় সাহিনুদ্দীনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত মানিক। এছাড়া ২২ মে দিবাগত রাতে পল্লবী ১২ নম্বর সেক্টরে সাগুপ্তা হাউজিংয়ের সামনে আরেক আসামি মনির ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।