মাসুদ আলম: [২] বুধবার র্যাব সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আজহারকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে দক্ষিণখানের সরদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রহমান তার এক ছাত্রের নামে একটি মোবাইল ফোন ও সিম কিনে আসমা আক্তারকে দেন। ওই ফোনে হত্যা সম্পর্কে আলোচনা করতেন তারা। রোজা শুরুর সাত দিন আগে ইমাম ও আজহারের স্ত্রী আসমা আক্তার তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই গত ১৯ মে নিজের শয়নকক্ষে আজহারকে ৬ টুকরা করে হত্যা করেন ইমাম।
[৩] তিনি বলেন, হত্যার পর মসজিদের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহের টুকরোগুলো লুকিয়ে রাখেন ইমাম। আজহার হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি আব্দুর রহমান আর ২ নম্বর আসামি আসমা আক্তার। মঙ্গলবার সেপটিক ট্যাংক আজহারের ৬ টুকরা মৃতদেহ উদ্ধারের পর আব্দুল্লাহপুর থেকে আসমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমামের সঙ্গে আসমার পরকীয়ার জেরে আজহারকে হত্যা করা হয়।
[৩] তিনি আরও বলেন, আজহারকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ইমামকে ভাড়াটে কাউকে দিয়ে হত্যা করার জন্য বলেন আসমা। কিন্তু ইমাম ভাড়াটে কাউকে দিয়ে হত্যা না করিয়ে নিজেই হত্যা করেন। আজহারের সঙ্গে ইমামের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। আজহার-আসমা দম্পতির চার বছরের শিশু সন্তানকে বাসায় গিয়ে আরবি পড়াতেন আব্দুর রহমান। আজহারকেও আরবি পড়াতেন তিনি। সেই সুবাদে গত ৫-৬ মাস ধরে তাদের বাসায় আসা যাওয়া ছিল ইমামের। বাসায় আসা-যাওয়ার এক পর্যায়ে আজহারের স্ত্রী আসমার সঙ্গে মসজিদের ইমামের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :