মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি:[২] ঘূর্ণিঝড় "ইয়াস" এর তান্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বেরিবাঁধ।প্লাবিত রয়েছে ফসলি জমিসহ বসতঘর। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের বসতিরা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৬ পানি বৃদ্ধি পায় বলে জানান নদীর তীরবর্তী বসবাসকারী লোকজন।
[৩] মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে বাতাসের তীব্র গতিবেগে গাছ চাপায় লন্ডভন্ড হয়েছে অধিকাংশ বসতঘর।পায়রার বেগহীন স্রোত ও উপচে পড়া ঢেউয়ের তোপে বিধ্বস্ত হয়েছে বেরিবাঁধ। পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।ভেঙে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা- পাকা রাস্তা।পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত।
[৪] বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,মেহিন্দায়াবাদ, আন্দুয়া, রাপমুর,কলাগাছিয়া, কপালভেড়া এলাকার বেরিবাঁধ ভেঙে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে গোলখালী, চরখালীসহ উপজেলার নরবরে বেড়িবাঁধগুলো।যেকোন মুহুর্তে বিলিয়ে যেতে পারে পায়রা নদীতে।
[৫] এছাড়াও দেখা যায় উপজেলার রামপুর,কলাগাছিয়াসহ কিছু এলাকার পায়রা নদীর পাড়ে বেশ কিছু বসতঘর গাছ চাপায় ও বাতাসে ভেঙে গেছে। জানাযায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে উপজেলায় প্রায় ২ কি.মি. বেরিবাঁধ, ৫ কিঃমিঃ পাকা ও ৪ কিঃ মিঃ কাচা রাস্তা ভেঙে গেছে। পানিবন্দি রয়েছে প্রায় শতে শতে লোক। ভেসে গেছে মাছের গের।
[৬] উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের মোঃ জাফর বলেন,ঘূর্ণিঝড়ে এবার যে ক্ষতি হয়েছে তা সিডরেও এমন ক্ষতি হয়নি।আমাদের ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পরছি গ্রামবাসী।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন বলেন, এবার উপজেলায় কৃষকের ২০০ হেক্টর জমিতে আউশের বীজ তলা করেছে।পানি বেশি দিন আটকে থাকলে বীজ তলার ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে।
[৭] উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলায় প্রায় ১২শত টি মাছ গের রয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বেরিবাঁধ ভেঙে গেলেও প্রাণহানীর কোন ঘটনা ঘটেনি।ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলায় ৫৮ টি আশ্রয়ন কেন্দ্র ও ৬ টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :