লিহান লিমা: [২] সোমবার মালির সরকার দ্বিতীয় সেনা অভ্যূত্থানের আশঙ্কায় গত বছরের আগস্টের অভ্যূত্থানের নেতৃত্ব দেয়া দুই সৈন্যকে রদবদলের কয়েক ঘণ্টা পরই সেনাবাহিনী অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট বাহ নাদেউ ও প্রধানমন্ত্রী মক্টর উয়ানিকে গ্রেপ্তার করে। আল জাজিরা
[৩] যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অতিসত্বর বেসামরিক সরকারের নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থা দুটি বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে কোনো ধরণের বলপূর্বক পদত্যাগ বা জবরদস্তি প্রত্যাখ্যান করবে। ইউরোপিয় ইউনিয়ন এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, সেনাবাহিনী বেসামরিক সরকারের নেতাদের ‘অপহরণ’ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লক ‘ইসিওডব্লিউএএস’ যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, এই দেশগুলোর প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার মালির রাজধানী বামাকো সফর করবেন।
[৫]কূটনৈতিক ও সরকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর কাতি শহরের সেনাশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে।
[৬] গত আগস্টের অভ্যূত্থানে মালির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবোকার কেইতাকে উৎখাত করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। সেপ্টেম্বরে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাদাউ এর নেতৃত্বে সামরিক ও বেসামরিক সরকারের যৌথ ১৮ মাসের অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। সেনা অভ্যূত্থানে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির সাবেক নেতা উৎখাত হওয়ার ৯ মাস পর এই ঘটনা দেশটির রাজনৈতিক সংকট আরো গভীর করলো।
আপনার মতামত লিখুন :