শরীফ শাওন: [২] বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি মো. সাইদুল হাসান সেলিম আরও বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষকদের স্বীকৃত একটি শিক্ষা আইন নেই। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষার মান সবচেয়ে খারাপ। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
[৩] মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে কোন উন্নয়ন আমাদের কাজে আসবে না। তাই শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
[৪] লিখিত বক্তব্য পাঠে সংগঠনের মহাসচিব আব্দুল খালেক বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বচর বয়সেও শিক্ষায় বরাদ্দ হচ্ছে জিডিপির ২.২ শতাংশ, যা জাতির জন্য দুঃখজনক। আমাদের চেয়ে দরিদ্র দেশগুলো সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে।
[৫] শিক্ষকদের অবস্থা জানিয়ে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয়, যা বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে খুবই বেমানান ও লজ্জাকর। অথচ দেশের ৯৭ শতাংশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার গুরুদায়িত্ব পালন করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা।
[৬] সম্মেলনে বক্তারা দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ ৯ দফা দাবি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :