ইমরুল শাহেদ: মা তাহমিনা হুদার দিকনির্দেশনায় পরিচালক শহিদুল ইসলাম খোকনের হাত ধরে ১৯৯৮ সালের মে মাসে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়েছিল চিত্রানায়িকা তামান্নার। ক্যারিয়ারের দুই যুগে তিনি দুই জনকেই হারিয়েছেন। তামান্না বলেছেন, ‘ ‘ভন্ড যখন হিট হলো তখন কিছু ভুলের কারণে আমি আমার মতো করে এগিয়ে যেতে পারিনি। নিজের মতো করে এগিয়ে গেলে ইন্ডাস্ট্রিতে আমার অবস্থান কোথায় থাকত তা আজ অনুভব করতে পারি।’ উল্লেখ করার বিষয় হলো, ঢাকার চলচ্চিত্রে মাত্র দুটি ছবি ২৯ শোতে ২৯ শো পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে চলেছে।
একটি হলো পপি অভিনীত ‘কুলি’ এবং আরেকটি হলো তামান্না অভিনীত ‘ভন্ড’। এটিই ছিল তামান্না অভিনীত প্রথম ছবি। ১৯৯৮ সালের মে মাসে ছবিটি মুক্তি পায়। কিন্তু তামান্না চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হন তারও দুই বছর আগে। কিন্তু গø্যামার জগতে তার পদচারণা শুরু হয় ১৯৯৫ সালেই। সেই সময় আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় স্টারশিপের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেন তিনি।
টিভিতে প্রচারের পর ’৯৭ সালেই সুইডেন থেকে আবার আসতে হয় আজিজুর রহমানের ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য। কিন্তু তামান্না তাতে অভিনয় না করে সাইফুল আজম কাশেমের ‘ত্যাজ্যপুত্র’ সিনেমার শুটিং শেষ করেন। এ সিনেমার নৃত্যপরিচালক ছিলেন ইমদাদুল হক খোকন, তারই মাধ্যমে ‘ভÐ’ সিনেমায় কাজ শুরু করেন একই বছরের ডিসেম্বর মাসে।
মুক্তি পায় ৯৮ সালের মে মাসে। এরপর তামান্নাকে ‘হৃদয়ে লেখা নাম’, ‘তুমি আমার ভালোবাসা’, ‘শত্রæ তুমি বন্ধু তুমি’, ‘কঠিন শাস্তি’, ‘সন্ত্রাসী বন্ধু’, ‘আমার প্রতিজ্ঞা’সহ সর্বশেষ ২০১৩ সালে মঈন বিশ্বাসের ‘পাগল তোর জন্যরে’ সিনেমায় অভিনয়ে দেখা যায়। তামান্না গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রে না থাকলেও দর্শক আমাকে মনে রেখেছেন, আমাকে ভালোবাসেন-এটাও অনেক বড় প্রাপ্তি। শুকরিয়া আদায় করিতো অবশ্যই, সেইসঙ্গে আমার মায়ের প্রতি, খোকন ভাইয়ের প্রতি প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আর এখন আমার জীবন অনেক সুন্দর। নিজের মতো করে বাঁচতে পারছি, প্রাণ ভরে নি:শ্বাস নিতে পারছি।’ তামান্না ব্যক্তিগত জীবনে একজন দন্ত চিকিৎসক।
আপনার মতামত লিখুন :