স্বপন দেব: [২] মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলাই ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা। বিশাল সীমান্ত এলাকায় বৈধ প্রবেশের চেক পোষ্ট দুটি থাকলেও চোরাই পথে যোগাযোগ রয়েছে বেশ কিছু পয়েন্টে। তাই করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন জেলাবাসী।
[৩] এমন সময় ভারতের গোয়াহাটি থেকে ঈদের এক সপ্তাহ আগে কুলাউড়ার পৌর শহরের বাসাতে আসেন সঞ্জু দাশ নামে এক ব্যক্তি (৪০)।
[৪] দুই সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পেয়ে ওই ব্যক্তির বাসা লকডাউন করেছে।
[৫] কুলাউড়া থানার এস আই জসীম আহমেদ শুক্রবার(২১ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় জানান, ভারতীয় নাগরিক সঞ্জু দাশ কুলাউড়ায় এসে পুলিশ ষ্টেশনে কোন রিপোর্ট করেননি। সে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে এদেশে এসেছে বললেও তার পাসপোর্ট দেখাতে পারেনি। তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা রয়েছে। আমরা তাকে শনিবার (২২ শে) মধ্যে পাসপোর্ট দেখাতে বলেছি।
[৬] এস আই জসীম আরও বলেন, শুক্রবার চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে দুজন এদেশে এসেছেন। আমরা তাদের কুলাউড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে আসছি। তাদের র্যাপিড টেষ্ট ও পিসিআর টেষ্ট করে গাইড লাইন মেনে রাখা হবে। পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসলে তাদের কোভিড গাইড লাইন মেনে বাড়িতে যেতে দেয়া হবে।
[৭] কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌস আকতার বলেন, ভারতের গোয়াহাটি থেকে পৌর শহরের মাগুরা আবাসিক এলাকায় ওই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি আমাদের অবগত করেননি। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে স্বাস্থ্য বিভাগ ওই প্রবাসীর বাসা লকডাউন করা হয়েছে। তার করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হবে শনিবার। করোনা টেস্টের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে তিনি করোনা পজিটিভ কিনা। যদি পজেটিভ হোন তাহলে তার শরীরে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট করোনা ভাইরাস রয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
[৮] ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর করোনা সংক্রমণ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও ত্রিপুরার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর এইসব রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর হারও দিনদিনই বাড়ছে। করোনা মহামারি এখন পূর্ব দিকে এগোচ্ছে বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক বার্তা জারী করেছে। তাই এসব এলাকা থেকে কেহ আসলে তাকে নিজ উদ্যোগেই প্রশাসনকে অবগত করা উচিত ছিলো। কিন্তু তিনি তা না করেই বাসাতে ছিলেন। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে প্রশাসন তা জানতে পেয়ে বাসাটি লকডাউন করে। ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা এই দু’রাজ্যের সাথে মৌলভীবাজার জেলার ১৪টি সীমান্ত ফাঁড়ি রয়েছে। তাই জেলাজুড়ে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক বিরাজ করছে।
[৯] জেলার সিভিল সার্জন দপ্তরের সূত্র জানা যায়, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। সম্পাদনা: হ্যাপি