কামরুল আহসান: মৃত্যুকে গভীরভাবে ফিল করা ছাড়া মানুষ জীবন সম্পর্কে সচেতন হবে না। যুদ্ধ, দুর্যোগ, মহামারী মানুষকে মৃত্যু বুঝতে সহায়তা করে না। বরং একধরনের বিতৃষ্ণার জন্ম দেয়। ফলে মানুষ আত্মহত্যা-প্রবণ হয়। ভাবে মৃত্যুকে যেহেতু প্রতিহত করা যাবে না, বরং তরান্বিত করুক। মৃত্যুকে উপলব্ধির সহজ উপায় শিল্প+সাহিত্য-দর্শন। এক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ জীবনানন্দ দাশ তলস্টয় মার্কেস দস্তইয়েভকি তারকোভস্কি মওলা রুমী সাধু কবীর তারা হলেন মহাগুরু। মৃত্যুর বিপরীতে তারা অমরত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই অমরত্ব এমন না যে তুমি চিরকাল টিকে থাকবে। বরং এক মুহূর্তের মধ্যেই তারা মহাকালকে আবদ্ধ করেছেন। যতোক্ষণ আমরা ভালোবাসার জগতে ডুবে থাকি ততোক্ষন মহাকালের ঘূর্ণন স্থবির রাখি। ভালোবাসার জগতে থেকে বিচ্যুত হলেই সময়ের চাকা ঘুরতে শুরু করে।
ফলে আমাদের জীবনে অস্থিরতা বাড়ে। সেই অস্থিরতা আমাদের অনিবার্য ভাবে নিয়ে যায় পতনের দিকে। (এখানে আরো অনেক কথা আছে) একমাত্র জীবনকে ভালোবাসার মধ্যে দিয়েই মানুষ যৌথ আত্মহত্যা ঠেকিয়ে রাখতে পারে। যা তার পুরো প্রজাতিকে আরো কিছু কাল টিকিয়ে রাখতে পারে। এবং এই যৌথ আত্মহত্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রের তেমন কিছু কথার নেই। প্রত্যককেই তার জীবনকে ভালোবাসতে হবে। ভালোবাসার জন্য জীবনকে শিল্পের জগতে সমর্পণ করতে হবে। শিল্পের জগতে নিমজ্জিত হলে স্বাভাবিক ভাবেই অতিরিক্ত আকাক্সক্ষা, অস্থিরতা ও প্রতিযোগিতার জগত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। সময় তখন স্থির হবে। যার অর্থ অমরত্ব। ফেসবুক থেকে