অমি রহমান পিয়াল: সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ায় এক নেতা নিজের দলীয় পদবি বলার পর নেত্রী তারে প্রশ্ন করছিলেন, তুমি আবার কোন দোকানের সাধারণ সম্পাদক? আপার প্রশ্নে বিরক্তি না, কৌতুক ছিলো বেশি। এক নেতার কাছে শুনছিলাম আপা এই প্রবাসের দলাদলির নাম দিছেন গেইম। তোমরা খেলতে থাকো সমস্যা নাই। সত্যি বলতে প্রবাসী আওয়ামী লীগ সংগঠনগুলার অবস্থা আমাদের চট্টগ্রামের মতো। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগ, বিভাগীয় আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ আছে আবার সব কয়টার উত্তর দক্ষিণও আছে। কেউ কাউরে মানে না। এত্তো নেতা আমরা কোথায় রাখিবো!
ইউরোপে সুইজারল্যান্ড ব্যতিক্রম, একটা কমিটি দিয়া সময় পার করতেছে। কিন্তু ব্যতিক্রম কখনও উদাহরণ হইতে পারে না। এই মহাদেশের সব দেশে আওয়ামী লীগের কয়েকটা কমিটি। সবাই বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করে, সেই নীতিতে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু কমরেডদের দেখতে পারে না। ওই বেটা আমার মাথার ওপর ছড়ি ঘুরাইবো এত্তোবড় সাহস, মানলাম না ওরে নেতা, মানি না। এই হইলো সাইকোলজি। তো প্রত্যেক কমিটিরই আবার কোনো না কোনো কেন্দ্রীয় নেতার অনুমোদন আছে। আর জামায়াত বিএনপি লাগে না, আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের লগে মারপিট করে, একটা আরেকটারে গালি দেয়। নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের ড্যাডি কা মাম্মি। হাম রাতা হ্যায়, কুক্কুরু কু!
আপা যখন প্রবাস থিকা ফিরলেন, তার নেতৃত্ব মানতে অস্বীকৃতি জানাইছিলো পোড় খাওয়া এবং প্রবীণ কিছু নেতা। মালিক উকিল মানতে চান নাই। আবদুর রাজ্জাক মানতে চান নাই। তারা বহিষ্কৃত হইলেন এবং নিজেদের দোকান খুললেন। আওয়ামী লীগ মালেক হইলো আলাদা দল এবং বাকশালের নেতৃত্বে থাকলেন রাজ্জাক ভাই। কিন্তু সেইসব দোকানে লোক গেলো না। আপার আওয়ামী লীগের প্রতিই অনুগত থাকলো সবাই। হার স্বীকার কইরা তাদের ফিরতে হইলো মূলধারায়। কিন্তু আগের সেই সম্মাণ হারায়া।
ইউরোপে নিজেরে রাতা মোরগ ভাবা নেতার সংখ্যা অগনিত সেটা আগেই বলছি। আমার সুপারিশ তারা এইসব দাঙ্গা হাঙ্গামা আর ক্যাচাল না কইরা প্রত্যেকেই দোকান খুইলা বসেন। আপনাগো যেহেতু নেতা হওয়াটা লক্ষ্য। ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উচিত হবে সব কয়টা কমিটিরে বৈধতা দেওয়া। বাংলাদেশ থিকা নেতারা আসলে সবাই ফুল দেবে, সবাই হ্যান্ডশেক করবে, সবাই ছবি তুলবে। সবার উপহার নিবেন নেতারা, সবাইর দাওয়াত খাইবেন তারা। এতে লোকজনের পক্ষে সুবিধা হবে, লোকজন বলতে সাধারণ সমর্থক ও কর্মীরা। তারা যারে খুশি তারে নেতা মাইনা তার দোকানে যাইবেন। কোনো পিয়ারপ্রেশারে ভুগতে হবে না। সবার মধ্যে একটা ভাতৃত্ববোধ থাকবে। যতো শাখা ততো কম্পিটিশন থাকবে ভালা করার। নিজেরা নিজেরা মারামারি কইরা লাভ কি?
ইউরোপিয়ান লীগ নেতৃত্ব ভাইবা দেখতে পারেন বিষয়টা। পরীক্ষামূলকভাবে কইরা দেখতে পারেন। কারণ বৈধতা দেওয়ার অধিকারে প্রবলেমটা আপনাদেরই বেশি। এতো নেতা আপনারা কোথায় রাখবেন? পুনশ্চ : আওয়ামী লীগ একমাত্র দল যেখানে ইনহাউজ পলিটিক্স বেশি, যে কারণে তারা মাঠে ভালো খেলে। এটাই গেইম। এটাই পলিটিক্স। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। ফেসবুক থেকে