শরীফ শাওন: [২] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, শেষ কর্মদিবসে নিজ ক্ষমতায় ১৩৭ জনকে এডহকে নিয়োগ দিয়েছেন। অনিয়মের তদন্ত শেষে কমিটির সদস্যরা জানান, নিয়োগ তালিকার ৭৮ নম্বরে রয়েছে উপাচার্যের মেয়ে জামাইয়ের নাম। শুধু উপাচার্য নয়, নিয়োগকাণ্ডে কে কার বোন, কার মেয়ে জামাই এগুলো আইডেন্টিফাই করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির চার সদস্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, আজ প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্তের প্রথম দিনেই দুর্নীতির প্রমান মিলেছে। ডিপার্টমেন্টের প্লানিং কমিটি, রেজিষ্ট্রার বা চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে জানেনা। কিন্তু নিয়োগের কাগজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা পুরোটাই অবৈধ।
[৪] অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ডিসেম্বরের শেষে মন্ত্রণালয় থেকে উপাচার্যকে অবহিত করার পরও তিনি তা অমান্য করে নিজ ক্ষমতায় নিয়োগ দিয়েছেন। উপাচার্যের ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২২ এর ৫ ধারা মোতাবেক বিশেষ ক্ষমতায় তিনি নিয়োগ দেন। তবে আইনের ২২ এর ২ ধারা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিধি অনুসরণ করে নিয়োগ দিতে হবে। বিধি মতে, ২২ এর ২ ধারা প্রতিপালন করে ২২ এর ৫ ধারা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়াও নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩৭ জনের মধ্যে সিভি পাওয়া গেছে মাত্র ৯ জনের।