মনিরুল ইসলাম :[২] প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত নাগরিক সংলাপে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবের কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে একের পর এক দুর্যোগ আঘাত হানছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এখানো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি। বরং নানা কারণে তাদের ঝুঁকি বেড়েছে। তাই দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা সুন্দরবন উপকূলের উন্নয়নে আগামী বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।
[৩] বৃহস্পতিবার সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। আলোচনায় অংশ নেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, খুলনার পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, প্রমূখ।
[৪] সংলাপে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, ষাটের দশকে নির্মিত বাঁধগুলো ফসল চাষের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এসব বাঁধ দেখভালের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। কিন্তু বাঁধ ব্যবস্থাপনার অভাবে এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল এখন ভয়াবহ সংকটের মুখে। এই সংকট মোকাবেলায় সস্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
[৫] সংলাপে বক্তারা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যে গত বছর সুপার সাইক্লোন আম্ফান উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এরপর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়নি। শতাধিক পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সম্পাদনা : রাশিদ