শিরোনাম
◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয় ◈ কত টাকার বিনিময়ে মানববন্ধনে এসেছেন তারা, এদের পরিচয় কী? আরো যা জানাগেল (ভিডিও) ◈ ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আবারো বিএসএফের ‘পুশ ইন’, ৬ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি ◈ বি‌সি‌বি ও বি‌সি‌সিআই সর্বসম্ম‌তিক্রমে সি‌রিজ স্থ‌গিত কর‌লো, আগ‌স্টে আস‌ছে না ভারত

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২১, ১০:১৭ দুপুর
আপডেট : ২০ মে, ২০২১, ১০:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুখী পরিবার গঠনে রাসূল (সা.) এর শিক্ষা

ইসলামি ডেস্ক : প্রাত্যহিক জীবনের সব ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। এই সময়ে অন্তহীন সুখের উৎস পরিবারে সুখের দেখা মেলা ভার। ফলে অনেকে পরিবারবিমুখ হতে শুরু করেছে। ভাঙতে শুরু করেছে পরিবারকাঠামো। এমন প্রেক্ষাপটে ‘সুখী পরিবার গঠনে প্রিয় নবীর আদর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র :  ডেইলি বাংলাদেশ

প্রিয় নবী (সা.) তার স্ত্রীদের খুবই ভালোবাসতেন। স্ত্রীদের সঙ্গে তিনি খোশমেজাজে মিশতেন ও তাদের আবেগের প্রতি লক্ষ রাখতেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দুনিয়ায় আমার কাছে প্রিয় হলো নারী, সুগন্ধি আর আমার চক্ষু শীতল হয় নামাজে। (মুসনাদে আহমাদ : হা. ১২৩১৯)

দাম্পত্য জীবন স্থিতিশীল ও ফলপ্রসূ হওয়ার ফর্মুলা
বৈবাহিক সম্পর্ক স্থিতিশীল ও ফলপ্রসূ হওয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের বিশ্বস্ততা, সহযোগিতা, সহানুভূতি, ত্যাগ-তিতিক্ষা, ইজ্জত-সম্মান ও প্রেম-ভালোবাসার মুখাপেক্ষী। রাসূল (সা.)-এর বৈবাহিক জীবনে এসবের ছাপ গভীরভাবে লক্ষ করা যায়। রাসূল (সা.)-এর আচার-আচরণ, চালচলন নিজের জীবনসঙ্গিনীর সঙ্গে সহানুভূতি ও স্নেহময় ছিল। হুজুর (সা.) তাদের প্রফুল্ল করতে এবং সম্মান করার মধ্যে কোনো ত্রুটি বা কমতি করেননি। এ ব্যাপারে ছোট ছোট বিষয়েও তিনি খেয়াল রাখতেন।

সান্ত্বনা প্রদান
হজরত ছাফিয়্যাহ (রা.) কোনো এক সফরে মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি যে উটে আরোহণ করেছিলেন, তা অত্যন্ত ধীরগতির হওয়ায় কাঁদতে শুরু করেন। এ অবস্থা দেখে রাসূল (সা.) তার কাছে এসে নিজ হাতে তার চোখের পানি মুছে দেন এবং তাকে সান্ত্বনা দেন। (আস-সুনানুল কুবরা, নাসাঈ : হা. ৯১১৭)

স্ত্রীর প্রশংসা
রাসূল (সা.) স্ত্রীদের প্রশংসা করার মধ্যে কোনো কমতি করতেন না। বরং ভরপুর মজলিসে প্রশংসা করতেও কুণ্ঠাবোধ করতেন না। যেমন একবার ইরশাদ করেন, ‘খাদিজার প্রতি আমার প্রচন্ড ভালোবাসা রয়েছে। ’ (মুসলিম, হা. ২৪৩৫)

আরেকবার হজরত আয়েশা (রা.)-এর ব্যাপারে বলেন, “খাদ্যের মধ্যে যেমন ‘ছরিদ’ (আরবের খাবারবিশেষ) সর্বশ্রেষ্ঠ, তেমনি নারীদের মধ্যে আয়েশা শ্রেষ্ঠ। ” (বুখারি, হা. ৩৪১১)

এক পাত্রে পান করা
বর্ণিত আছে, ‘হজরত আয়েশা (রা.) পেয়ালার যেখানে মুখ রেখে পান করতেন, রাসূল (সা.) সেখানে মুখ রেখে পান করতেন এবং একই হাড্ডির গোশত আয়েশা (রা.) খেয়ে রাসূল (সা.)-এর হাতে দিলে রাসূল (সা.) সেখান থেকেই খেতেন, যেখান থেকে আয়েশা (রা.) খেয়েছেন। ’ (নাসাঈ, হা. ৭০)

একসঙ্গে গোসল করা
বর্ণিত আছে, ‘রাসূল (সা.) এবং হজরত মাইমুনা (রা.) একই সঙ্গে একই মগ দিয়ে একই পাত্রের পানি দিয়ে গোসল করেন। ’ (নাসাঈ, হা. ২৪০)

সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ করা
রাসূল (সা.) স্ত্রীদের সঙ্গে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ করতেন। একদিন হজরত ছাফিয়াহ (রা.) হুজুর (সা.)-এর সঙ্গে ইতিকাফকালীন সাক্ষাতের জন্য আসেন, সাক্ষাৎ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় রাসূল (সা.) তাকে একটু এগিয়ে দেন। (বুখারি, ১/২৭৩)

পারস্পরিক মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ
আমাদের সমাজে পারিবারিকভাবে নারীদের যেহেতু বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় না, তাই গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যাপারে তাদের সঙ্গে পরামর্শ বা তাদের মতামত জানার চেষ্টাও করা হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের মতামত গ্রহণ করা হলেও তা আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত স্বামী গ্রহণ করবে আর বেগম সাহেবা শুধু শুনে থাকবে আর মেনে চলবে এটাই তার একমাত্র দায়িত্ব! অথচ রাসূল (সা.)-এর অবস্থা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।

তিনি শুধু পারিবারিক বিষয়েই নয়, প্রয়োজন হলে উম্মতের ব্যাপারেও স্ত্রীদের পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করতেন এবং তা বাস্তবায়ন করতেন। যেমন হুদাইবিয়ার সন্ধি সম্পাদন হওয়ার পর রাসূল (সা.) সাহাবাদের বলার পরও যখন তারা ব্যথিত হয়ে ভগ্নহৃদয়ের কারণে কোরবানি এবং হলক (মাথা মন্ডানো) কোনোটাই করলেন না, তখন রাসূল (সা.) মনঃক্ষুন্ন হয়ে তাঁবুতে প্রবেশ করেন এবং হজরত উম্মে সালমা (রা.)-এর সঙ্গে এ ব্যাপারে পরামর্শ করেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী রাসূল (সা.) নিজের কোরবানি ও হলক সম্পাদন করলে সাহাবায়ে কেরামও নিজেদের কোরবানি ও হলক সম্পন্ন করে নেন। (বুখারি, ১/৩৮০)

পারিবারিক কাজে সহযোগিতা করা
ঘরের কাজকর্মে স্ত্রীদের সহযোগিতা করার প্রতি পুরুষদের কোনো আগ্রহ নেই বললেই চলে। অনেকে আবার এটাকে মানহানিকর মনে করে থাকে। ছোট ছোট বিষয়ে তারা স্ত্রীনির্ভর হয়ে থাকে। হায় রে মান রে! অথচ রাসূল (সা.) ঘরের কাজকর্মে স্ত্রীদের সহযোগিতা করতেন। হজরত আয়েশা (রা.)-কে একদিন জিজ্ঞেস করা হলো, রাসূল (সা.) ঘরে কী কাজ করতেন? হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসূল (সা.) ঘরের কাজকর্মে স্ত্রীদের সহযোগিতা করতেন। ’ (মিশকাত, ৩৫১৯)

অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, ‘রাসূল (সা.) নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। নিজেই নিজের জুতা মেরামত করতেন। ঘরে যেসব কাজ পুরুষরা করে থাকে, রাসূল (সা.)ও সেসব কাজ নিজেই করতেন। ’ (মিশকাত, ৫২০)

স্ত্রীর মনোরঞ্জন ও বিনোদনমূলক কাজে অংশগ্রহণ
মানুষের স্বভাবজাত বিষয় হলো, সে অবিরাম কাজের ফলে ক্লান্ত হয়ে ওঠে, কাজের প্রতি অনীহাভাব চলে আসে। এমতাবস্থায় ক্লান্তি দূর করতে প্রয়োজন একটু বিনোদনের যেন নবোদ্যমে জীবনের পথচলা শুরু করা যায়। ইসলাম যেহেতু মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম, তাই মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা বিনোদনের প্রতি আকর্ষণ পূরণ করার জন্য শরিয়তের গণ্ডির মধ্য থেকে জায়েজ এবং বৈধ পন্থায় প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা লাভ করার যাবতীয় পথ উন্মুক্ত রেখেছে।

স্বয়ং রাসূল (সা.) শুধু প্রকাশ্যে নয়, নির্জনেও উম্মাহাতুল মুমিনীনের সঙ্গে বিনোদন করেছেন এবং নিজের পারিবারিক জীবনকে সব রকম কলহ-বিবাদমুক্ত পুষ্পবাগানে পরিণত করেন। যেমন, একবার হাবশি কিছু লোক মসজিদে নববীর সামনে যুদ্ধের মহড়া দিচ্ছিল, তখন রাসূল (সা.) নিজের পক্ষ থেকেই হজরত আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি তাদের মহড়া দেখতে আগ্রহী? হজরত আয়েশা (রা.) হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলে রাসূল (সা.) ঘরের দরজায় আয়েশাকে চাদর দিয়ে আড়াল করে দাঁড়িয়ে যান। আর আয়েশা (রা.) রাসূলের পেছনে দাঁড়িয়ে তার কাঁধ ও কান মুবারকের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা দিয়ে তাদের মহড়া দেখতে থাকেন। আয়েশা (রা.) নিজে নিজে প্রস্থান না করা পর্যন্ত রাসূল (সা.) এভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন। (বুখারি, হা. ৫১৯০)

ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সমস্যার সমাধান
স্বাভাবিক জীবনের মতো পারিবারিক জীবনও উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েই অতিবাহিত হয়। কথার ফুলঝুরির মধ্যেও এমন কথা শুনতে হয়, যা গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। কিন্তু রাসূল (সা.) যদি কোনো উম্মুল মুমিনীনের মুখে অসংলগ্ন কোনো কথা শুনতেন, তাহলে তাকে ধমকানো বা তিরস্কার করা ছাড়া দার্শনিক পন্থায় এমনভাবে ভুল সংশোধন করে দিতেন, যেন সংশোধনও হয়ে যায়, আবার মানসিকভাবে ভেঙেও না পড়ে। এমনই একটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো একদিন রাসূল (সা.) ঘরে তাশরিফ নিয়ে দেখেন, হজরত ছফিয়্যাহ (রা.) কান্নাকাটি করছেন। রাসূল (সা.) তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হাফসা (রা.) আমাকে ইহুদির বাচ্চি বলে গালি দিয়েছেন। এ কথা শুনে রাসূল (সা.) তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, এর মধ্যে দোষের কী আছে? বরং এর মধ্যে তো এমন সম্মান রয়েছে, যা আল্লাহ তাআলা একমাত্র তোমাকেই দিয়েছেন। তুমি হাফসাকে বলে দাও যে আমার স্বামী নবী, আমার বাবা নবী এবং আমার চাচাও নবী। অতএব আমার সঙ্গে তুমি কিসের বড়াই করো। এরপর হাফসাকে লক্ষ্য করে বলেন, হাফসা! আল্লাহকে ভয় করো। ’ (তিরমিজি, হা. ৩৮৯৪)

অহেতুক সন্দেহ পরিহার করা
বৈবাহিক জীবনে বিশ্বাসঘাতকতামূলক সন্দেহ (যেমন পরকীয়া) এমন একটি বিষয়, যার কল্পনাও যেকোনো স্বামীর জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। এটা এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়, যা একজন নম্রভদ্র ব্যক্তিকেও  ক্রোধান্বিত করে। কখনো কখনো অতিমাত্রায় রাগের কারণে অত্যন্ত ভয়ানক পদক্ষেপও গ্রহণ করে ফেলে। অর্থাৎ তালাকের মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করে। এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন স্বয়ং রাসূল (সা.) হয়েছেন। ইতিহাসের পাতায় যা ইফকের ঘটনা নামে প্রসিদ্ধ। মুনাফিকদের অপবাদের কথা রাসূল (সা.)-এর কানে পৌঁছলে তিনি মিম্বরে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, ‘হে মুসলমানগণ! আমার পরিবারের ব্যাপারে কিছু কষ্টদায়ক কথা আমার কানে পৌঁছেছে। আল্লাহর কসম! আমি তার (আয়েশার) ব্যাপারে ভালো ছাড়া অন্য কিছু জানি না। ’

এরপর সরাসরি হজরত আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেন এবং বলেন যে আমার কানে তোমার ব্যাপারে এমন এমন কথা পৌঁছেছে, তুমি যদি এই অপবাদ থেকে মুক্ত হও, তাহলে আল্লাহ তোমাকে এর থেকে মুক্ত করে দেবেন। আর যদি তোমার দ্বারা এ-জাতীয় কোনো কিছু হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহর কাছে তওবা ও ইস্তিগফার করো। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা হজরত আয়েশা (রা.)-এর পবিত্রতা বর্ণনা করে পবিত্র কোরআনে একাধিক আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। (বুখারি, ২/৫৯৫-৫৯৬)

ব্যক্তিগত কাজে স্বাধীনতা
মহানবী (সা.) স্ত্রীদের ব্যক্তিগত বৈধ কাজে তাদের স্বাধীনতা দিতেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমি ছোট মেয়েদের সঙ্গে খেলা করতাম। নবী (সা.)-এর পাশে আমার কিছু বান্ধবী ছিল, যারা আমার সঙ্গে খেলত। যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রবেশ করতেন তারা পর্দা ব্যবহার করত এবং তিনি তাদের আমার জন্য ছেড়ে দিতেন, যাতে তারা আমার সঙ্গে খেলা করে। ’ (বুখারি, হা. ৬১৩০)

স্বামী-স্ত্রীর গোপনীয়তা রক্ষা
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেক গোপন কথা থাকে। তা প্রকাশ করা সমাজে লজ্জাজনক। মহানবী (সা.) এ ব্যাপারে মহান পথপ্রদর্শক। কখনো তিনি নিজের পরিবারের ত্রুটি জনসমক্ষে প্রকাশ করতেন না। নিজেই তার সমাধান দিতেন। আবদুর রহমান ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হবে সেই পুরুষ, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে গোপন কথা বলে, অতঃপর তা ফাঁস করে দেয়।’ (মুসলিম, হা. ১৪৩৭)

মহানবী (সা.) স্ত্রীদের প্রহার করতেন না
স্ত্রীদের প্রহার করতে পারা আমাদের সমাজের এক নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। অথচ তা লজ্জাজনক কাজ। যার সঙ্গে রাত্রিযাপন হবে, তার সঙ্গে কিভাবে ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া যায়! রাসূলুল্লাহ (সা.) এ ব্যাপারে খুব সতর্ক ছিলেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনো নিজের হাতে কোনো স্ত্রী ও খাদেমকে প্রহার করেননি। যুদ্ধ ছাড়া তিনি নিজের স্বার্থে কারো থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। আল্লাহর বিধানের অসম্মানের কারণ ছাড়া তিনি কখনো প্রতিশোধ নিতেন না।’ (মুসলিম, হা. ২৩২৮)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়