অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: বলা হচ্ছে, ভ্যাকসিন কেনা সংক্রান্ত অত্যন্ত গোপনীয় ফাইল নাকি সচিবের পাশের রুমে ছিলো। সেটা এমনি গোপনীয় যে আমাদের সরকার নাকি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে কাউকে জানাবে না। ও মাই গড! এতো গোপনীয়ভাবে ভ্যাকসিন কেনার অধিকার আপনাদের কে দিয়েছে? খোলাখোলিভাবে কিনেই তো এক কোম্পানিকে অনেক লাভবান বানিয়ে দিলেন। এবার কঠোর গোপনীয়তাই না কেবল একইসঙ্গে নাকি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এইটাতো সাংঘাতিক ব্যাপার। আপনারা এতো গোপনীয়ভাবে চুক্তি করে টাকাপয়সা লেনদেন করবেন ঘটনাতো সুবিধার না। আর এতো গোপনীয় ফাইল কেন পিএসের রুমের টেবিলে খোলামেলা পরে থাকবে? এর জন্য দায়িত্বে অবহেলা আর কাজে হেলাফেলার জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কাকে বলে? তারা কী গিয়ে জিগ্যেস করে ‘আপনি কী কী দুর্নীতি করছেন একটু বলবেন? সেগুলোর ডকুমেন্টস কী আমাকে দিবেন?’ আর অমনি আমলারা চেলচেলাইয়া সব দিয়ে দিবে নাকি?
অনুসন্ধানী সাংবাদিক যদি চোখের সামনে এতো গোপনীয় কিছু পায় সেইটার ছবি তুলে যদি জনগণকে জানায়, তাহলে সেটাতো হবে জনকল্যাণকর কাজ। প্রতিটা কাজের ইনটেন্ট দেখতে হবে। রোজিনা যা করছিলো তার মাধ্যমে সেকি রাষ্ট্রকে বিপদে ফেলতে চাইছে নাকি রাষ্ট্রের উপকার করছে? বরং গোপনে ভ্যাকসিন কেনার নামে নয়ছয় আপনারা করছিলেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আসলে পুরো জিনিসটাই একটা সাজানো নাটক। রোজিনা স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির ওপর ৪-৫টা রিপোর্ট করায় তার ওপর তারা ক্ষিপ্ত ছিলো। যা হয়েছে সেটা সেই রাগেরই বহিঃপ্রকাশ। কাগজগুলোর ছবি যদি সে তুলে থাকে বেশ করেছে। রাষ্ট্রের বৃহত্তর কল্যাণে এমন কাজ প্রশংসার দাবি রাখে। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।