মিনহাজুল আবেদীন: [২] মঙ্গলবার (১৮ মে) ডিবিসি টিভির এক প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়া থেকে স্পুটনিক ফাইভ টিকার ৬ কোটি ডোজ পাওয়ার নিশ্চয়তা ছিলো। কিন্ত প্রক্রিয়াগত জটিলতা আর স্বাস্থ্যবিভাগের অনাগ্রহের কারণে তা ঝুলে আছে।
[৩] এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, রাশিয়ার টিকার অনেক শর্ত আছে। রাশিয়া দিতে চাইলেও বাংলাদেশ তার প্রয়োজনের বেশি টিকা নিতে চায় না। প্রাথমিকভাবে চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
[৪] তথ্য মতে, বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী ৬ কোটি ডোজ স্পুটনিক ফাইভ সরবরাহের প্রাথমিক সমঝোতা হয় রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে। সেই অনুযায়ী ৩১ আগস্টের মধ্যে ৪০ লাখ স্পুটনিক ফাইভ আসার কথা রয়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশ পাওয়ার কথা আরও ১ কোটি ডোজ টিকা।
[৫] স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চায় টিকা আমদানি প্রক্রিয়ায় স্থানীয় এজেন্ট দিতে। অন্যদিকে রাশিয়া বলছে দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তিতে কোনও তৃতীয় পক্ষ থাকতে পারবে না। সরাসরি সরকার গ্রহণ করবে টিকা। আর এ শর্তেই ঝুলে গেছে টিকা আমদানি প্রক্রিয়া।
[৬] এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, প্রত্যেকেরই অনেক শর্ত থাকে। আমরা তাদেরটা মানতে পারি না, তারা আমাদেরটা মানতে পারে না। নেগোসিয়েশন চলছে। এটা হলে আমরা পরবর্তী স্টেজে যেতে পারে।
[৭] রাশিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি বলছেন, শভভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের চাহিদা মতো করোনা টিকা জি টু জি ভিত্তিতে রাশিয়া থেকেই পাওয়া সম্ভব। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :