শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ ◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন 

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২১, ০৫:০৬ বিকাল
আপডেট : ১৭ মে, ২০২১, ০৫:০৬ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৪৩ বছরে পদার্পণ করলো বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ

ইমরুল শাহেদ: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির রুপরেখা প্রণীত হয় ১৯৭৫ সালে। উদ্যোক্তা হয় চলচ্চিত্র সংসদ এবং একই বছর প্রণীত রুপরেখা তৎকালীন তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ে তা পেশ করা হয়। ১৯৭৫ সালের মর্মান্তিক ও বিয়োগান্তক ঘটনার পর এ প্রক্রিয়া থমকে যায়। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালের ১৭ মে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘ফিল্ম ইনস্টিটিউট ও আর্কাইভ’ নামে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় এবং ১৯৮৪ সালে ‘বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ’ নামকরণ করা হয়। আর্কাইভের একজন মুখপাত্র জানান, কোভিড পরিস্থিতিতে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হলো না।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পর্যায়ক্রমে ধানমন্ডি, কলেজগেট, গনভবন ও সর্বশেষ শাহবাগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত আগ্রহে ঢাকার আগারগাঁও এ প্রায় ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় বিশ্বমানের অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ফিল্ম আর্কাইভ ভবন। প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর নবনির্মিত বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবন উদ্বোধন করেন তিনি।

আরকাইভের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সংরক্ষণাগারে রয়েছে বিরল কিছু চলচ্চিত্র। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের প্রথম চলচ্চিত্র ‘দি লুমিয়ের ব্রার্দাস (১৮৯৫)’। এছাড়াও সংরক্ষিত আছে পূর্ব বাংলার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ(১৯৫৬)’, কাজী নজরুল ইসলাম অভিনীত ‘ধ্রুব (১৯৩৪)’, প্রমথেস বড়ুয়ার ‘দেবদাস(১৯৩৫)’, ‘আসিয়া(১৯৬০)’, রাশিয়ার ‘ব্যাটেলশিপ পটেমকিন(১৯২৫)’, ‘মাদার(১৯২৬)’, ‘অপুর সংসার(১৯৫৯)’, ‘জীবন থেকে নেয়া(১৯৭০)’, ‘নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা (১৯৬৭)’ ইত্যাদি। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষিত সকল চলচ্চিত্রকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর ও রেস্টোরেশন করে সংরক্ষণ করা হয়। ফিল্ম ডিজিটাইজেশন ও রেস্টোরেশনের জন্য কারিগরি শাখায় রিয়েল টাইম ফিল্ম স্ক্যানার, ফিল্ম রেস্টোরেশন ইউনিট, কালার গ্রেডিং ইউনিট ও ভিডিও এডিটিং প্যানেল রয়েছে।

বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে রয়েছে ৫০০ আসন বিশিষ্ট ১ টি অত্যাধুনিক মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম, ৩০০ আসন বিশিষ্ট ১ টি প্রজেকশন হল ও ১২০ আসন বিশিষ্ট ১টি সেমিনার হল।

আরকাইভের গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগও বেশ সক্রিয় রয়েছে। এখান চলচ্চিত্রবিষয়ক বই প্রকাশ ছাড়াও ‘বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ জার্নাল’ নামে একটি প্রকাশনা রয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে দেশের প্রথম ফিল্ম মিউজিয়াম স্থাপন করা হয়েছে , যা সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ১৯৮০ সালে আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব ফিল্ম আর্কাইভসের সদস্য পদ লাভ করে ও ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক অ্যাসোসিয়েশন অব অডিও ভিজ্যুয়াল আর্কাইভের সদস্য পদ লাভ করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়