শিরোনাম
◈ বাংলাদেশি কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগ ১৮ দেশে, স্থিতি ৩৫ কোটি ডলার ◈ ‘সুসম্পর্কই লক্ষ্য’ — বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বার্তা দিলেন রাজনাথ সিং ◈ অভ্যুত্থানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্যের ভুল ছিল: হিন্দুস্তান টাইমসকে হাসিনা ◈ বিড়াল হত্যাকারী সেই নারী গ্রেপ্তার ◈ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হওয়া জরুরি: জামায়াত আমির ◈ ৫ আগস্টের পর ছাত্ররা ভুল করেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা যাবে ভারতের হাতে: ফরহাদ মজহার ◈ মির্জা আজম বলেন, “সালামান তো বলল পাঠাবে, জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ও তো উল্টা টাকা চায় (অডিও) ◈ রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার ◈ বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে তিন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত, সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে নতুন প্রশ্ন ◈ সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক করল আইএসপিআর

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২১, ০৪:২৯ দুপুর
আপডেট : ১৬ মে, ২০২১, ০৪:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝামাঝি দেশ, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তদের মধ্যে ৫ জনই সুস্থ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

শিমুল মাহমুদ: [২] রোববার স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক প্রফেসর মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, জিনোম সিকোয়েন্স করে যে কয়টি পেয়েছিলাম সেটি আমরা ইতোমধ্যে জানিয়েছি। তার মধ্যে ৫ জন একেবারেই সুস্থ আছেন। তাদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করেও আর কোনও সংক্রামিত রোগী পাইনি। সর্বশেষ আমরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ৬ জনের নমুনায় পেয়েছি। নতুন করে জিনোম সিকোয়েন্স হচ্ছে, যদি আরও পাই তাহলে সেটিও জানিয়ে দেবো।

[৩] অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম থাকলেও এ নিয়ে আত্মতুষ্টি বা সন্তুষ্টির কোনো কারণ নেই। এ ধরনের সংখ্যা যদি দিনের পর দিন পেতে থাকি তবেই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। তার আগে পর্যন্ত মনে রাখতে হবে যে সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ চলছে আমরা তার মাঝখানে আছি। সেখান থেকে এখনো পরিত্রাণ পাইনি। কাজেই সবাইকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্ক থাকতে হবে।’

[৪] তিনি বলেন, ‘করোনা উপসর্গ থাকা জনগণকে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা বেশি বেশি করায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যত বেশি পরীক্ষা হবে তত বেশি রোগী শনাক্ত হবে। শনাক্ত রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনার ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করা হবে।’

[৫] পরিচালক জানান, জিনোম সিকোয়েন্সিং একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। স্বাস্থ্য অধিদফতর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপযুক্ত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জিনোম সিকোয়েন্সিং করে গণমাধ্যমকে অবহিত করে।

[৬] স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘ভারত থেকে যেসব নাগরিক (চিকিৎসার জন্য যাওয়া রোগী ও তাদের সঙ্গে যাওয়া স্বজনরা) ফিরে আসছেন তারা বাংলাদেশ সীমান্তে আসার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে রোগী ও তাদের স্বজনরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। নানাভাবে নিজ বাসগৃহে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এটি একেবারেই যৌক্তিক নয়। কারণ এভাবে কোয়ারেন্টাইন থেকে চলে গেলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী থেকে থাকলে পুরো দেশবাসীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’

[৭] তিনি ভারত থেকে ফিরে আসা এসব বাংলাদেশি নাগরিকদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিজের এবং অন্যদের জীবনকে বিপন্ন না করতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে অবস্থানের অনুরোধ জানান।

[৮] তিনি জানান, হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি রোগীর চেয়ে খালি শয্যার সংখ্যা বেশি। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়