রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের দেওয়া কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজের ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার প্রস্তাবকে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ ইমিউনাইজেশন (এনটিএজিআই) সমর্থন করেছে। এর আগে এই ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের মধ্যে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ ব্যবধান রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, এই সময়সীমা আরও বাড়ালে টিকা বেশি কার্যকরী হতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাউচি বলেন, ‘ভারতের কোভিড-পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। তাই সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশের বেশিরভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া।’
[৪] গত তিন মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজের মধ্যেকার ব্যবধান বাড়ানো নিয়ে নির্দেশিকা জারি করা হল। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন ভ্যাকসিনের সংকট ঢাকতেই বারবার সিদ্ধান্ত বদল করা হচ্ছে। যদিও এই দাবিকে পুরোপুরি খারিজ করেছেন ফাউচি। তার যুক্তি, ‘প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যত ব্যবধান বাড়বে, ততই টিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে। তাই ভ্যাকসিনের সংকট সামাল দিতে কেন্দ্র এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে এমনটা আমি মনে করি না।’
[৫] সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা বলেন, ‘কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যে বেশি সময়ের ব্যবধান টিকার এফিকেসি যেমন বাড়বে, তেমনই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিরও সম্ভাবনা রয়েছে। দুটি ডোজের মধ্যে তিন থেকে চার মাসের ব্যবধান কতটা কার্যকরী হবে তা বিজ্ঞানসম্মতভাবে খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
[৬] এছাড়া ভারতে কোভিড-দুর্যোগ মেটাতে সেনাবাহিনীকে মোতায়েনের প্রস্তাব দেন ফাউচি। অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি থেকে ভ্যাকসিন বন্টন একাধিক কাজে সেনাকে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফাউচি বলেন, ভারতে যে হারে করোনা ছড়াচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের অদূর ভবিষ্যতে উড়ান পরিষেবা চালুর কোনও পরিকল্পনা নেই। পুরোটাই নির্ভর করছে ভারতের সংক্রমণ-পরিস্থিতির উপর। আপাতত যা অবস্থা, তাতে ফের যোগাযোগ পরিষেবা শুরু করা মুশকিল।
আপনার মতামত লিখুন :