মিনহাজুল আবেদীন: [২] মঙ্গলবার (১১ মে) ডিবিসি টিভির এক প্রতিবেদনে জানায়, এদের মূল টার্গেট চলতি পথের যাত্রীরা। কখনো টোটকা ওষুধের ফেরিওয়ালা বা রোজাদার সহযাত্রী। কিন্তু তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য ভিন্ন। ওষুধ আর ইফতার হিসেবে খেজুর বা জুসের মধ্যে মিশিয়ে দেয় বিষাক্ত বস্তু, তারপর সেটি খাইয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে সবকিছু লুট করে নেয়া হয়।
[৩] জানা গেছে, এদের খপ্পরে পড়ে যাত্রীরা শুধু তাদের মূল্যবান সামগ্রীই হারায় না। এই মেডিসিন ব্যবহারের ফলে মানুষের অঙ্গহানি বা প্রাণনাশের আশংকা থাকে। রাজধানীসহ সারাদেশে সক্রিয় এমন একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
[৪] এ কাজের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি জানান, যৌথভাবে এ কাজগুলো করা হয়। বাসে পাশের সিটে বসা একজনকে এগুলো খাওয়াই। আমিও খাই। আমি ভালোটা খাই আর তাদেরকে খারাপটা দেয়া হয়। পরে ঘুমায় গেলে অন্যরা তাদের টাকা পয়সা নিয়ে নেয়।
[৫] গুলশান বিভাগ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, অজ্ঞাণকারীদের জন্য বড় কোনও ধারা নেই। কখনো কখনো জামিন যোগ্য হবার কারণেই তারা জামিন পেয়ে যায়। কিন্তু জামিন পাওয়ার পর তাদের মধ্যে কোনও অনুশোচনা বা সংশোধন হবার ভাবনা থাকে না। এদের হাত থেকে বাঁচতে জনসাধারণকে আরও সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি। সম্পাদনা: মহসীন