কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] বাংলাদেশকে উপহারের জন্য উপহার পাঠানোর জন্য পাঁচ লাখ ভ্যাকসিন প্যাকেজিং শেষে বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় চীন দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর এবং ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান। ভ্যাকসিনের প্যাকেটে বাংলাদেশের জন্য বাংলায় এই বার্তা ছিলো দেশটির।
[৩] উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আনতে চীন গেছে বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজ।
[৪] আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমানবাহিনীর সি-১৩০জে একটি উড়োজাহাজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করেছে।
[৫] সোমবার ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল টকে অংশ নিয়ে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, সিনোফার্মের তৈরি পাঁচ লাখ করোনা ভ্যকসিন ১২ মে পাবে বাংলাদেশ।
[৬] তিনি বলেন, চীন বাণিজ্যকভাবে বাংলাদেশকে টিকা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে এ টিকা পেতে এখনও অনুমোদন দেয়নি বাংলাদেশ। শুধুমাত্র সিনোফার্ম কোম্পানিকে জরুরি অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে দ্রুত সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
[৭] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাণিজ্যকভাবে ভ্যাকসিন আনতে দেশটির সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হচ্ছে।
[৮] ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে এ নিয়ে আমাদের বিস্তর আলোচনা হয়েছে, তিনিও আমাদেরকে যথেষ্ঠ সহযোগিতার মনোভাব দেখিয়েছেন।
[৯] কখন এবং কত ডোজ টিকা কীভাবে আসবে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। তারা জানে কখন এটা আমাদের দরকার।
[১০] মন্ত্রী বলেন, অক্সফোর্ডের টিকার মজুদ রেখে ব্যবহার না করায় যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও সুইডেনে চিঠি দিয়ে আমরা আমাদের টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছি।
[১১] সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কোভিড-১৯ এর টিকা সবার জন্য সহজলভ্য করার তাগিদ দিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনেকদিন ধরে একই কথা বলে আসছেন।
আপনার মতামত লিখুন :