মহসীন কবির: [২] মঙ্গলবার সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষ শিমুলিয়া ঘাটে জড়ো হচ্ছেন। অপেক্ষা করছে ফেরির জন্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপও বাড়ছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নাই।
[৩] প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর থেকে ঘাটে নিয়মিত ফেরি ভিড়ছে। মালবোঝাই ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে একের পর এক ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ফেরি চলায় নির্বিঘ্নে পদ্মা পাড়ি দিতে পেরে খুশি দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা।
[৪] মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই হিলাল উদ্দিন বলেন, এ মুহূর্তে ঘাটে ১৪টি ফেরি চলছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় ঘাটে মানুষের কোন জটলা নেই। ঘাটে ব্যক্তিগত কোন পরিবহনও নেই। তবে ৩ শতাধিক মালবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান রয়েছে।
[৫] জানা গেছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১০টির বেশি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট পারের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক গাড়ি। এছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের মত ভিড় করছে ঘরমুখো মানুষ।
[৬] গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ভেঙে ভেঙে, বিকল্প পথে বাড়ি যাচ্ছে অনেকে। দ্বিগুণ বা তারও চেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে, গাদাগাদি করে গাড়িতে ওঠায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।
[৭] অনেকে দিনের বেলায় কোনো যানবাহন না পেয়ে মধ্যরাতেও বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন। কেউ কেউ রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে মোটরসাইকেলেও যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এভাবে করোনার উচ্চ ঝুঁকি মাথায় নিয়েই ঢাকা ছাড়ছে মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :