কামাল হোসেন:[২] বিজিবি মোতায়েনের পরও রোববার (৯ মে) দীর্ঘ ৫ঘন্টা পর সকাল ১১টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ইউটিলিটি ফেরি মাধবীলতা শতশত যাত্রী, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ভিড়ে।
[৩] এদিকে শুক্র ও শনিবার দৌলতদিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকায় রোববার সকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষকে ঠেকাতে জেলাপুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহন করেন। এসময় ঘাট এলাকায় তেমন কোন যাত্রী ও যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি।
[৪] সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, ঘাটে তেমন কোন যাত্রী ও গাড়ী নেই। জরুরী পরিষেবায় অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী যানবাহন পারাপারে শুধুমাত্র দুটি ফেরি সচল রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ফেরিগুলো ঘাটেই নোঙর করে রাখা হয়েছে। যদিও দুয়েকজন যাত্রী ও মোটরসাইকেল আসছে বিশেষ কারণ ছাড়া তাদেরকেও ফিরিয়ে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।অন্যদিকে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দেখা মেলেনি কোন যানবাহন। স্থানীয় কিছু ছোট গাড়ী ছাড়া আর কোন গাড়ী নেই মহাসড়কে। একেবারেই ফাঁকা এই মহাসড়কটি।
[৫] বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারি মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, দিনে ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরী পরিষেবায় বহরের ১৬টি ফেরির মধ্যে ২টি দিয়ে কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তাও অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী ছাড়া ফেরিতে উঠতে পারবেনা। তবে রাতে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য সবগুলো ফেরি সচল রাখা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :