ইরানি বিলকিস খান: এই যে প্রথম বছরের লকডাউনে বেঁচা বিক্রি বন্ধ ছিল, লস হয়েছিল, সেটারই উসুল করছেন সবকিছুর দাম বাড়িয়ে.. তিনি বাড়িওয়ালা হোন, রিকসাচালক হোন, মুদি দোকানদার হোন, ওষুধ ব্যববসায়ী হোন আর তরমুজ বাঙ্গি বা মার্কেট ব্যবসায়ী হোন না কেন.. সবাই সেইম কাজটা করছেন, সাধারণ মানুষের গলা কেটে নিজের লাভ লস পুষিয়ে নিচ্ছেন..
বলদ কেবল বেসরকারি চাকরিজীবীরা.. তাদের এই পুষিয়ে নেয়ার চক্করে বাড়ছে খরচ, সেটা ১০,০০০টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ২০,০০০ টাকা বা বেশি!
কমছে বেতন, কমছে ভাতের নলা.. জীবন বাঁচানোর যুদ্ধের সময় বাড়িওয়ালারা বাসা ভাড়া বাড়ানো শুরু করলেন।
আমাদের বাড়িওয়ালাও ৫০০ টাকা করে বাসা ভাড়া বাড়িয়েছেন জানুয়ারি মাসে..
এখন এখানে ৫০ টার বেশি ফ্যামিলির অর্ধেক ভাড়াটিয়ার একেকজনের বাড়ি ভাড়া জমা পড়েছে ৩ মাস থেকে ৯ মাস পর্যন্ত! ঘরও খালি অনেকগুলো! এই করুন সময়ে সবারই অর্থনৈতিক মন্দা.. সেখানে এত বেশি খেতে চেয়ে পুষিয়ে নেবার মানষিকতায় কতটা লস গুনতে হচ্ছে এখন?
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যদি ভাড়া না বাড়িয়ে কিছুটা কমিয়ে রাখা হতো, তাহলে কি অন্তত এতগুলা ভাড়াটিয়ার ভাড়া জমতো? এতগুলা ফ্ল্যাট মাসের পর মাস খালি পড়ে থাকতো? মানুষের হক মেরে, বিপদে নিজের ঝোলা ভরে অন্যকে ঠকিয়ে বেশি খেতে চাইলে চরম ধরা তো একদিন খেতেই হবে.. । ফেসবুক থেকে