ইমরুল শাহেদ: চলচ্চিত্রের বিপর্যয় যতোই বাড়ছে, ততোই আলোচনায় আসছেন শাকিব খান। তার কেন্দ্রিক এই আলোচনায় কেবল অভিনেতাই নয়, একজন ব্যবসায়ী হিসেবেও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে তাকে। কেউ বলছেন, শাকিব চাইলেই চলচ্চিত্রশিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে পারেন। তিনি যদি নামমাত্র পারিশ্রমিকে বা পারিশ্রমিকের অর্থ একটি ছবির লভ্যাংশ থেকে নিয়ে অন্তত দশটি ছবি করে দেন, তাহলে নির্মাতারা তার ইমেইজ কাজে লাগিয়ে দশটি বাণিজ্য সফল ছবি নির্মাণ করতে পারেন। তাতে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই চলচ্চিত্রশিল্প অন্তত প্রাথমিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে। তবে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রস্তুতিও থাকতে হবে নির্মাতাদের।
এছাড়া কথা উঠেছে শাকিব খানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে প্রোডাকশন নিয়ে। উল্লেখ করার বিষয় হলো, পাসওয়ার্ড ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হওয়ার পর চারটি ছবির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে। তার থেকে করা হয়েছে মাত্র একটি। আর তিনটি ছবি করা হবে কি হবে না, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে শাকিব খানের অংশীদার প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবালের কাছ থেকে।
এই রিপোর্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শাকিব খানকে নিয়ে ছবি বানানো এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। কারণ তাকে নিয়ে ছবি বানাতে গেলে যে লগ্নীর প্রয়োজন হয়, তা উঠে আসার মতো সিনেমা হল নেই। তাই আপাতত এসকের ছবি বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীতে বাজার যখন সম্প্রসারিত হবে এবং লাভসহ লগ্নী ফেরত আসবে তখন থেকে আবার এসকের কার্যক্রম শুরু হবে।
একজন নির্মাতা বলেছেন, শাকিব খানের জনপ্রিয়তা এখন আর আগের মতো নেই। এটা সব তারকা অভিনেতা বা অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকা ও অবস্থানে পরিবর্তন আসে। জনপ্রিয়তাও একইভাবে আবর্তিত হয়। শাকিব খান সব সময়ই জনপ্রিয় থাকবেন এমন কোনো কথা নেই। যদি শাকিব খানের ভূমিকায় বদল ঘটে তাহলে এসকে প্রোডাকশনের ভাগ্য কিভাবে নির্ধারিত হবে, সেটাই হলো ভাবার বিষয়।
আপনার মতামত লিখুন :