সমীরণ রায়: [২] মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তিন দফা দাবি করে স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতারা। এতে উল্লেখ করা হয়, দেশের সড়ক পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। দেশে প্রায় ৭৫ শতাংশ যাত্রী ও ৬৫ শতাংশ পণ্য সড়কপথে বাস ও ট্রাকে পরিবহন করা হয়। জাতীয় অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পরিবহন খাত। রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে শরীর যেমন অচল হয়ে যায়, একইভাবে পরিবহন খাত বন্ধ হলে দেশ অচল হয়ে যায়।
[৩] এতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন খাতে ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। করোনাকালে যেহেতু পরিবহন শ্রমিকদের গণমানুষের সংস্পর্শে থাকতে হয়, তাই শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। ঝুঁকিতে থাকেন যাত্রীও। করোনার সংক্রমণরোধে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সেই বিবেচনায় সরকারের গণপরিবহন বন্ধ করা যুক্তিসঙ্গত। তবে শ্রমিকদের জীবিকার নিশ্চয়তার বিষয়টিও ভাবা দরকার।
[৪] প্রধানমন্ত্রীকে গণপরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, পরিবহন শ্রমিকরা উপায়ন্তর না পেয়ে আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে থোক বরাদ্দের অনুরোধ জানানো হয়।
[৫] তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করা। ২. সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া। ৩. সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএস-এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা।
[৬] এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সাদিকুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি ওসমান আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ, মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম।
আপনার মতামত লিখুন :