কামাল পাশা চৌধুরী, ফেসবুক থেকে, আমার পিতার বয়সি, কিন্তু ডাকতাম ভাই বলে, আমাদের চেয়ে অনেক ছোটরাও তাঁকে ভাই ডাকতো। আচরণও করতাম বন্ধুর মত। মাঝে মাঝেই ভীষণ রকম রাজনৈতিক তর্কে মেতে উঠতাম তাঁর সাথে। তাঁর চীন ঘেঁষা মতবাদের বিরুদ্ধে সুযোগ পেলেই খোঁচা দিয়ে তাঁকে রাগিয়ে দিতাম। অথচ তাঁর নিখাদ ভালবাসার কখনও ঘাটতি দেখতামনা।
বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ছিলেন তিনি। এক সাথে জেল খেটেছেন। জেলে বসে লেখা তাঁর রাজনৈতিক ছড়া পুলিশের হাত থেকে বাঁচিয়ে বঙ্গবন্ধু নিজের বালিশের ভিতরে লুকিয়ে বাইরে পাচার করেছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ আহমদ '৭১-এর ২৫ মার্চ মধ্যরাতেও প্রেসক্লাবে বসে সংবাদ লিখছিলেন। এ সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ট্যাংক থেকে কামানের গোলা ছুঁড়ে ভেঙ্গে ফেলে প্রেসক্লাব ভবন। তিনি শেলের আঘাতে আহত হয়েও সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও প্রথম সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, আমাদের ভ্যানগার্ড ফয়েজ আহমদের আজ জন্মদিন। তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।