শাহীন খন্দকাল: [২] জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয় আমেনাদের। জীবন-জীবিকার তাগিদে মানুষ বিচিত্র পথে যাত্রা করে। আর পরিবারের প্রধান যিনি, তার উপার্জনেই চলে একেকটি পরিবার। তেমনি জীবন সংগ্রামে রংপুরের হারাগাছের মেয়ে আমেনা রংপুর ছেড়ে চলে এসেছে ঢাকায়।
[৩] আমেনা রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে পান সিকারেট আর পানি বিক্রেতা। তিনি বলেন, নানা পেশার মানুষ বসবাস করে এই ঢাকা শহরে তেমনি আমিও চলে এসেছি গ্রাম ছেড়ে দুই ছাওয়াল আর এক মেয়ে নিয়ে।
[৪] আমেনা (৪৫) জানালেন, এই ঢাকায় কেউ বড় বড় দালানে বসবাস করে, কেউ আবার ফুটপাতে ঘুমায়। কেউ আবার ফুটপাতে বসে দুমুঠো ভাত খেয়ে জীবন বাচাঁয়। হামারগে জীবনযাত্রা প্রতিনিয়ত যুদ্ধের মতো। শত বাধা মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হয় । করোনা এর মধ্যে চলছে লকডাউন উদ্যানে আগের মতো মানুষ আসেনা। প্রতিদিন আসরের নামাজ পড়ে চলে আসেন তিনি চন্দ্রিমা উদ্যানে, পান সিকারেট আর পানির বোতল নিয়ে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তার বেচাকেনা দিনের শেষে আয় হয় ৫ থেকে ৭শত টাকা।
[৫] আমেনা থাকেন আগারগাঁ সেকেন্ড গেটে কয়েকজনে মিলে একটি বাসা ভাড়া নিয়েছেন। সেখানেই থাকেন তিনি। মেয়েটাকে এরমধ্যে বিয়েও দিয়েছেন। মেয়ের জামাইয়ের হারাগাছে দোকান কওে দিয়েছেন, মেয়ে সুখেই আছেন । আমেনার মতো ২০ থেকে ৩০জন এই চন্দ্রিমা উদ্যানে কেউ ফুল বিক্রি করছে, ঝালমুড়ি , আম -পেয়ারার চাটনি ।
[৬] এক অনুসন্ধানে জানা যায় রাজধানীতে একটা বড় অংকের নিম্ন আয়ের মানুষদের বাস। তারা ঢাকার আশপাশে ১৩টি বস্তিসহ বাসাবাড়ি ভাড়া করেও থাকছেন যৌথভাবে। এই সমস্ত মানুষের বেশিরভাগই রাজধানীর বিভিন্ন উদ্যান এবং ফুটপাতে ফুল-পানি সিকারেট,আমড়া, পেয়ার আমসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক পেশার সঙ্গে যুক্ত। এদের কেউ আবার রিক্সাচালক, কেউ বাসাবাড়িতে গৃহস্থালির কাজ করে, কেউ শরবত বিক্রি করে, কেউ ঝাল মুড়ি বিক্রেতা, এভাবেই জীবিকা নির্বাহ করছে।