রাহুল রাজ : [২] ফিফটি পার হলেই সেঞ্চুরি! টেস্টে ফাওয়াদ আলমের জন্য এটা যেন রীতিমত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে পাকিস্তানকে এনে দিয়েছেন বড় লিড। সেই সাথে গড়েছেন দারুণ এক রেকর্ড।
[৩]জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির সাথেই ৩০ এপ্রিল ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট শতক তুলে নেন ফাওয়াদ। এই ক্যারিয়ারে নেই কোন ফিফটি। এর ফলে ৫৫ বছর আগে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার জন এডরিচের গড়া রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে করা প্রথম চারটি ফিফটিকেই সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করা ফাওয়াদ আলমের মতোই ১৯৬৬ সালে একই কীর্তি গড়েছিলেন সে সময়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে পরিগণিত জন এডরিচ।
[৪]এদিন হারারেতে বিনা উইকেটে ১০৬ রান নিয়ে দিন শুরু করে পাকিস্তান। আগের দিনের ফিফটি পূর্ণ করা আবিদ আলি আউট হন শুরুতেই। তাকে ৬০ রানে ফেরত পাঠান টেন্ডাই চিসোরো।এরপর ৬১ রানের জুটি গড়েন ইমরান বাট ও আজহার আলি। ৩৬ রান করে ডনাল্ড টিরিপানোর বলে আজহার বিদায় নিলে ভাঙ্গে জুটি।বাবর আজমকে দ্রুত ফিরিয়ে আরেকটি সাফল্য পায় জিম্বাবুয়ে। শূন্য রানে পাকিস্তান অধিনায়ক ও সেরা ব্যাটসম্যানকে ফেরান টিরিপানো।
[৫]বাটকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন ফাওয়াদ আলম। তবে, বেশিদূর এগোতে পারেননি। ৯১ রান করে রিচার্ড এনগারাভার বলে বাট আউট হলে ভাঙ্গে ৪৪ রানের জুটি।সেখান থেকে পাকিস্তানের লিড বড় করেন আলম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। পঞ্চম উইকেটে ১০৭ রান যোগ করেন দুই জন।এক সময় মনে হচ্ছিল দিনের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করবেন এই দুই ব্যাটসম্যান।তেমনটা হয়নি। পরপর দুই ওভারে রিজওয়ান ও ফাহিম আশরাফের উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিক দল।
[৬]রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ আর আশরাফ বিদায় নেন শূন্য রানে।অন্যপ্রান্তে আলম ছিলেন অবিচল। ১৪৪ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ও শেষ আট ইনিংসে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি। টেইল এন্ডে তাকে সঙ্গে দেন হাসান আলি।দিনশেষে আলম ১০৮ ও আলি ২১ রান নিয়ে খেলছিলেন। - ক্রিকবাজ