শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৫৯ সকাল
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এম আমির হোসেন: প্রেমময় পারিবারিক বন্ধন কিংবা মানুষের কল্যাণপ্রদ কাজ করে নির্মল যে সুখ লাভ হয় তা বহুমূল্য

এম আমির হোসেন: পেশাগত কারণে মানুষের জীবনের অন্তিমসময় খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় আমার। ভ্যানচালক থেকে শিল্পপতি সবাই কতো অসহায় তখন। সবচেয়ে কাছের মানুষেরাও কোনো কাজে আসে না। কাজে আসে না বেহিসাবি বিত্তবৈভব, সামাজিক পরিচিতিও। তবে এটা সত্য যে, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা না থাকলে ভালো পরিবেশে সর্বোচ্চ চিকিৎসাটি পাওয়া যায় না। জীবনে অর্থবিত্তের কোনো মূল্য নেই-এটি ঠিক নয়। জীবনকে অযথা অপচয় না করে নিজের পেশা বা প্রিয় কাজে সফলতা অর্জনের চেষ্টা করা উচিত আমাদের। তবে অর্থবিত্ত ও সফলতার জন্য উন্মাদ হয়ে যাওয়ারও কোনো মানে নেই। জীবনের সবক্ষেত্রেই থামতে জানতে হয়। চলতে জানার পাশাপাশি জীবনে থামতে জানাও গুরুত্বপূর্ণ।

গড়ে ছয়-সাত দশকের জীবনে প্রথম তিন-চার দশক চলে যায় স্থিতিশীল একটি অবস্থায় আসতে আসতেই। আবার শেষ দিকের দশক যায় নানান রোগে-শোকে। মাঝখানের পঞ্চম ও ষষ্ঠ দশক মূল কাজ ও উপার্জনের সময়। এই দুই দশকের কাজ দিয়েই জীবনের সফলতা বা বিফলতা নির্ধারিত হয়। আবার গুরুত্বপূর্ণ এই দুই দশকেরও প্রায় অর্ধেক সময় চলে যায় ঘুমে, বিশ্রামে, আলস্যে বা অসুস্থতায়। সক্রিয় জাগরণ কাল কতোটুকু? এর মাঝেই করতে হয় অনেক কাজ- পেশাগত, পারিবারিক বা সামাজিক কাজ।

মানুষের জীবন হাস্যকররকম ছোট। ছোট এই জীবনকেই যথাযথ ব্যবহার করে কেউ বিশ্বনন্দিত হয় বা কেউ হয় ইতিহাসনন্দিত। নিদেনপক্ষে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সুখী হয়। মানবজীবন ছোট বা অনিশ্চিত বলে মন খারাপ করে বসে থাকার কিছু নেই। বর্তমান সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। মোটামুটি হলেও সফল হওয়ার চেষ্টা থাকা উচিত আমাদের। প্রেমময় পারিবারিক বন্ধন কিংবা মানুষের কল্যাণপ্রদ কাজ করে নির্মল যে সুখ লাভ হয় তা বহুমূল্য। ব্যর্থতার অনেক অজুহাত বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থাকলেও তা নিজের আবেগের মতো দ্বিতীয় কেউ কখনো বুঝবে না। দ্বিধা বা সংশয়ে থেকে থেকে সংক্ষিপ্ত এই জীবনকে অপচয় করার কোনো মানে হয় না আমাদের। প্রাপ্ত সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে পরিসমাপ্তিতে যেতে পারাই হলো জীবনের সার্থকতা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়