শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:১০ রাত
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় সে সব নিয়ে সম্পাদক-সাংবাদিকদের আক্রমণ করাটা অনাকাঙ্ক্ষিত

শওগত আলী সাগর: ১. বাংলাদেশে যা ঘটে সবকিছুই যে মিডিয়া প্রচার করে বা করতে পারে তা কিন্তু নয়। আওয়ামীপন্থী মিডিয়া আওয়ামীলীগ বিব্রত হতে পারে এমন খবর চেপে যায়। বিএনপিপন্থী মিডিয়া বিএনপি বা তাদের সমমনাদের মন খারাপ হতে পারে এমন সবকিছুই আড়াল করে দেয়। এর বাইরে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কসহ নানা সমীকরণের ছাঁকনি পেরিয়েই একটি ঘটনা খবর হয়ে মিডিয়ায় স্থান পায়। এই সব ঘটনা তো নতুন কিছু না। বাংলাদেশের মিডিয়ার এই সংস্কৃতি সম্পর্কে যে বাংলাদেশের মানুষ জানেন না- তা তো নয়।

আবার অন্য চিত্রও আছে। যে খবর আওয়ামীপন্থীদের মনে কষ্ট দেয় তারা সেই খবরকে বিশ্বাস করেন না, এবং সেই খবর কেন প্রকাশ করা হলো সে জন্য সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার এবং প্রতিষ্ঠানের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে থাকেন । আবার যে খবর বিএনপি বা তাদের বন্ধুদের আঘাত করে সেই খবরকে তারা অবিশ্বাস করেন,প্রতিষ্ঠান এবং রিপোর্টারের চৌদ্দপুরুষের কাসুন্দি ঘাটতে থাকেন। আর যে মিডিয়া মোটামুটি সবকিছুই প্রকাশ করার চেষ্টা করে তাদের উভয়পক্ষেরই গালি হজম করতে হয়।

তারপরও বাংলাদেশের মানুষ এখনো মিডিয়ায়ই আশ্রয় খুঁজে, তাদের ভরসার জায়গাটা এই মিডিয়াই। আমরা মিডিয়াকে যতোটাই ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকায়’ দেখতে চাই না কেন- ’সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম না হয়ে উঠা’ মিডিয়াই তথ্যপ্রবাহের জগতে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকবে।

২. ঢাকায় একটি মেয়ের মৃত্যু এবং সেই মৃত্যুর সাথে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে নিহত মেয়েটির পরিবারের এজাহার দায়েরের ঘটনা নিয়ে প্রত্যকটি মিডিয়া ’তাদের বেষ্ট জাজমেন্ট’ অনুসারেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত কারো পছন্দ হয়েছে, কারো পছন্দ হয়নি। এই পছন্দ অপছন্দের খেলায় যারা মিডিয়াকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাইছেন কিংবা দেশে কোনো সাংবাদিকতা নাই বলে মত দিচ্ছেন, আমি তাদের সাথে ভিন্নমত পোষন করি। বাংলাদেশের মিডিয়া জগতের চিরায়ত সংস্কৃতিরই অনুসরণ ঘটেছে এই ঘটনার খবর প্রকাশের ক্ষেত্রেও।

ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই যখন আইন হস্তক্ষেপ করেছে, আমি আইনকে কাজ করতে দেয়ার পক্ষে। আইন প্রয়োগে কোথাও ব্যত্যয় ঘটছে কিনা, নাগরিক হিসেবে নিশ্চয়ই আমরা সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখবো। কোনো মিডিয়া ঘটনাকে ভিন্নখাতে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে কিনা সেটিও আমাদের নজরে থাকবে।আইন যখন হস্তক্ষেপ করেছে তখন আমাদের বিচারক হয়ে ওঠার সুযোগ আর নেই। আমি আইনের উপর আস্থা রাখার পক্ষে। বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখার পক্ষে।

৩. মিডিয়ার সমালোচনার পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপের বিভিন্ন মিডিয়ার শীর্ষ নির্বাহীদের সমালোচনা করছেন কেউ কেউ। আমি এই সমালোচনার প্রবল বিরোধী। বসুন্ধরা’র এমডির জন্মদিনে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন মিডিয়ার শীর্ষব্যক্তিদের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারা নিজেরা যা ভাবেন- সেই সব প্রশংসাবাণী তারা লিখেছেন।সেটি নিয়ে এখন ট্রল করাটাকে আমি অন্যায় মনে করি। বসুন্ধরা পরিবারের সদস্য হিসেবে তারা তাদের শিল্পগ্রুপের কোনো নির্বাহীর সাথে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের অন্তরঙ্গ ছবি, উচ্ছ্বাসবাক্য তারা পোষ্ট করেছেন- সেটি অন্যায় কিছু নয়। তার সাথে সাংবাদিকতার যেমন যোগাযোগ নেই, বর্তমান অভিযোগকেও তার সঙ্গে মিলিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। আপনি যেমন আপনার কোনো বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা এলাকারা কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির জন্মদিনে তাদের ছবিসহ প্রশংসা বাক্য পোষ্ট করেন, এটাও তেমনি। ব্যক্তির প্রতি ব্যক্তির অনুভূতি। বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় সে সব নিয়ে সম্পাদক-সাংবাদিকদের আক্রমণ করাটা অনাকাঙ্ক্ষিত।

৪. এখনো বাংলাদেশে মিডিয়াই জনগনের শেষ ভরসাস্থল। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও মিডিয়া যথেষ্ট ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। মিডিয়া নিয়ে সমালোচনার আগে এই কথাগুলো আমরা যেনো বিবেচনায় রাখি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়