নূর মোহাম্মদ: [২] যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। কিন্তু নিশ্চিত হলেন কিভাবে এটা আত্মহত্যা? নিশ্চিত হলেন কিভাবে যে, হত্যার পর ফ্যানে ঝুলে দেওয়া হয়নি। হত্যাকাণ্ডের মামলা হলে তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসতো। আমার জানা মতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার কোন আইন নেই। আত্মহত্যায় সহযোগীতার কথা রয়েছে।
[৩] ব্যারিস্টার সুমন বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ফেসবুক লাইভে বলেন, বসুন্ধরার মালিকের ছেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ প্রমাণ করা এত কঠিন হবে যে, সে আবারও খালাস পেয়ে যাবে। মুনিয়ার বোন বলেছে, লাশ নামানোর সময় তার পা বিছানায় ল্যাপটানো ছিল। তাহলে তো সন্দেহ হত্যাকাণ্ড। তাই যারা ভাবছেন, এটি আত্মহত্যা, সেটি ভাবার কোন কারন নেই। সুষ্ঠু তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে। অনেকের ধারনা এ ধরনের ধনী লোকদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চায়না, কেউ শত্রু কিনতে চায়না।
[৪] তিনি আরও বলেন, বসুন্ধরার বিরুদ্ধে জমি দখল করে বাড়ি বানানোর হাজার হাজার অভিযোগ রয়েছে। বসুন্ধরার মালিকের ছেলেদের বিরুদ্ধে ছাব্বির হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ ছিল। তারা বিভিন্নভাবে সেখান থেকে খালাস পেয়েছে।
[৫] সুুমন বলেন, মুনিয়ার বাবা-মা কেউ পৃথিবীতে নেই। এই এতিম মেয়ের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি ভালো আইনজীবী না পান তাহলে আমি মুনিয়ার পক্ষে দাঁড়াতে চাই। তার পরিবারকে আমি আইনি সহায়তা দিতে চাই।
[৬] প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি আমার নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবেদন রাখবো, আপনি তো শক্তিশালী যুদ্ধাপরাধীদেরও ৩০/৩৫ বছর পরে বিচারের মুখোমুখি করেছেন। তাই আমার বিশ্বাস জনগণের যে প্রত্যাশা আপনার ওপর, বসুন্ধরা হোক বা যে শিল্প প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন, তাদের যেকোনও ধরনের অপরাধের বিচার এই মাটিতে হবে। জনগণের সামনে এটা প্রমাণিত হবে যে, আপনি কোনও কিছুতেই পিছপা হননি। সে যে-ই হোক না কেন।
[৭] এই মৃত্যুর ঘটনায় দল-মত নির্বিশেষে এই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া, বিভিন্ন মিডিয়ায় মুনিয়া ভিকটিম হওয়া সত্ত্বেও তার ছবি প্রকাশ করা হলেও আসামির ছবি প্রকাশ না করায় নিন্দা জানান সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
আপনার মতামত লিখুন :